বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে, আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে প্রায়ই অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে যেতে চাই কিন্তু আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। 



বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির ওপরে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে, কোন ভিসার দাম কত এবং বেতন সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ জানতে পড়ুন

আমেরিকা ভিসা পাওয়ার উপায় ২০২৫

আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পেতে অনেক যোগ্যতা থাকতে হয়। ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে আপনাকে আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপযুক্ত ভিসা ক্যাটাগরির নির্বাচন করতে হবে। সকল ভিসা আবেদনকারীকে DS-160 ফ্রম পূরণ করতে হবে।ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চাই তাহলে আমেরিকায় যেতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অফার লেটার, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও কাজের ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চাইলে জব অফার লেটার প্রয়োজন হবে। টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চাইলে সমৃদ্ধ ট্রাভেল রেকর্ড ও যথেষ্ট পরিমাণ ব্যাংক ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন। আমেরিকা যেতে চাইলে আমেরিকান এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা আবেদন করে নির্দিষ্ট তারিখে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউ বোর্ড সাধারণত ভ্রমণের উদ্দেশ্য থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন।

এছাড়াও কেউ যদি আমেরিকান ভিসা প্রসেসিং করতে চায় তাহলে বিশ্বস্ত এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা কনসালটেন্রি নিতে পারে। এজন্য এজেন্সিকে ভিসা প্রসেসিং ফি পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে জানতে অনেকে আগ্রহী।বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে আমেরিকা যাওয়া অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে নিজ নিজ ভিসা প্রসেসিং করতে হয় কিনবা বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। তবে আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকার ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে খরচ অনেক বেশি হবে।

তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। যদিও আমেরিকার ভিসা ফ্রি অনেক কম। স্টুডেন্ট এবং ট্যুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে অফিসিয়াল ভাবে খরচ অনেক কম লাগে।

আমেরিকা ভিসা খরচের মধ্যে যাবতীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে যেমনঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স খরচ, মেডিকেল খরচ এবং ফ্লাইট টিকিট বুকিং ইত্যাদি। এছাড়া আপনি যদি কোন আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে যান তাহলে কম খরচে আমেরিকার যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে

আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে তাহলে আপনাকে প্রথমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার ধরন সাধারণত আপনার আমেরিকা যাওয়ার লক্ষ্যের উপর নির্ভর করবে। পর্যটনের জন্য B1/B2 ভিসা, কাজের জন্য HB1 ভিসা, এবং পড়াশোনার জন্য F1 ভিসার প্রয়োজন হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, আপনার যোগ্যতা এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

আমেরিকা যেতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে জানুন

ভিসার প্রকারভেদ

পর্যটনের জন্য B1/B2 ভিসা
 কাজের জন্য HB1 ভিসা
পড়াশোনার জন্য F1 ভিসা
আপনি কোন ভিসায় যেতে চাচ্ছেন অভিবাসন স্থায়ী বসবাস নাকি অভিবাসী ভিসা সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

ভিসার জন্য আবেদন

ভিসার ধরন অনুযায়ী আপনাকে আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা

আপনার যদি কাজের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার একটি বৈধ চাকরির অফার লেটার প্রয়োজন হবে।

আপনাকে একটি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা এবং অভিবাসন আইন সম্পর্কে জানতে হবে।

ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম

কিছু নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করতে পারে তবে এর জন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্য থাকে।

পাসপোর্ট

আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে।

এছাড়াও আরো তথ্য জানার জন্য আপনি U.S Embassy in Bangladsh (.gov) অথবাU.S. Department of State (.gov) ওয়েবসাইটে যেতে পারেন।

আমেরিকা যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে 

যুক্তরাষ্ট্রে যেতে সাধারণত IELTS এ ৬.৫ বা তার বেশি স্কোরের প্রয়োজন হবে। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোতে ভর্তির জন্য সাত বা তার চেয়ে বেশি স্কোর লাগতে পারে।
ILTS (International English Language Testing System) একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরীক্ষা যা ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই করে থাকে। আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য এই পরীক্ষার স্কোর গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

আপনার কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য IELTS এর ন্যূনতম স্কোর কত তা তাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। সাধারণত, স্নাতোক প্রোগ্রামের জন্য ৬.৫ থেকে ৭ এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য ৭ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে আলাদাভাবে IELTS স্কোর উল্লেখ করে দেন।

সাধারণ অভিবাসন বা ভ্রমণ ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে



বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ অভিবাসন বা পর্যটক বিষয় আমেরিকা যেতে চাই, তাহলে তাদের আনুমানিক ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সাধারণত এই খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর যেমন,

ভিসা আবেদন ফ্রিঃ ১৮৫ ডলার (প্রায় ২২,০০০ টাকা) খরচ হতে পারে।

বিমান টিকিটঃ১,৫০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা এটি যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।

আবাসন ও খাবার খরচঃ ৩-৮ লাখ টাকা(প্রথম ছয় মাসের জন্য)

ভ্রমণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচঃ ২-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে

ভিসা প্রসেসিং, এজেন্ট ফি এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ২ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত

আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশসহ অনেক দেশের প্রবাস গামী ভাই ও বোনেরা তাদের স্বপ্নের দেশটিতে পাড়ি জমাতে চায়। কিন্তু দেশটিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আমেরিকাতে প্রচুর পরিমাণ কাজের চাহিদা রয়েছে কিন্তু তার জন্য থাকতে হবে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তাহলে খুব সহজেই কাজ পাওয়া যাবে।

সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কে কাজের ভিসা বলা হয়ে থাকে তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত।

সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

তবে আপনি যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যেতে চান তাহলে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আমেরিকা যেতে আনুমানিক খরচ ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এমন পেশা নির্বাচন করতে হবে যে পেশায় লোক আমেরিকাতে কম  কিন্তু সেখানে কাজের দক্ষ কর্মীর অনেক চাহিদা রয়েছে।

আমেরিকা কোম্পানি ভিসার খরচ কত



বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কোম্পানি ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে আগ্রহী। কিন্তু তারা অনেকে জানে না আমেরিকা কম্পানি ভিসার খরচ কত। তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কোম্পানি ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন কোম্পানির ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অন্তর্গত। সরাসরি যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন আমেরিকান কোম্পানিতে কাজের জন্য নির্বাচিত হলে ভিসার আবেদন খরচের পাশাপাশি বিমান ভাড়া ও অন্যান্য ছোটখাটো খরচ ছাড়া আর কোন অতিরিক্ত খরচ প্রয়োজন হয় না।

 সরকারিভাবে আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে কোম্পানি ভিসার খরচের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়া আপনি যদি দালাল বা কোন এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানি ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

আমেরিকা ক্লিনার ভিসার খরচ কত

আমেরিকায় যারা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যান তাদের জন্য একটি সুবিধা জনক কাজ হচ্ছে ক্লিনিং কাজ। আপনারা হয়তো জানেন ক্লিনার ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অন্তর্ভুক্ত। আমেরিকাতে ক্লিনিং কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনারা চাইলে ক্লিনার ভিসা নিয়ে আমেরিকাতে পারি জমাতে পারেন। ক্লিনার ভিসায় আমেরিকা যেতে কেমন খরচ হবে জানতে নিচে পড়ুন।

আপনি যদি সরকারি ভাবে ক্লিনার ভিসাতে আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪ লক্ষ টাকা থেকে৫ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও আপনি যদি বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত।

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

ইউরোপ মহাদেশের একটি উন্নত দেশ হচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকায় অনেক উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এই সকল উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার আগ্রহ অনেকের রয়েছে। তার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট আমেরিকায় যেতে ইচ্ছুক। কিন্তু তারা অনেকে জানে না স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে জানতে পড়ুন।

স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে আপনার একাডেমিক ফলাফল অনেক ভাল হতে হবে পাশাপাশি একটি ভালো আই এল টি এস স্কোর বা সমমানের ইংরেজি ভাষার যোগ্যতার পরীক্ষায় ভালো নম্বর থাকা প্রয়োজন এছাড়াও অনেক সময় পড়ালেখার খরচের সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা করার প্রয়োজন হতে পারে।

মেডিকেল ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক মানুষ আমেরিকাতে পারি জমাচ্ছেন। তাই অন্যান্য দেশের অনেক স্টুডেন্ট মেডিক্যাল ভিসায় আমেরিকা যেতে আগ্রহী। কিন্তু অনেকে জানে না বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। বা মেডিকেল বিষয় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে জানতে নিচে পড়ুন।

প্রথমে আমেরিকার মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন হিসেবে ২২ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। এরপর আবেদনের পাশাপাশি মেডিকেল রিপোর্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয় এবং পরবর্তীতে আমেরিকার ভিসার জন্য নির্বাচিত হলে বিমানের ক্রিকেট অন্যান্য খরচ বাবদ আনুমানিক সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

আমেরিকায় বেতন কত



আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না আমেরিকাতে বেতনের হিসাব ঘণ্টা প্রতি হয়ে থাকে অর্থাৎ কত ঘন্টা কাজ করা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হয়। আমেরিকার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ঘন্টা প্রতি সর্বনিম্ন বেতন $ ৭. ২০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় দাড়ায় প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৮৬০ টাকা।

বর্তমান সময়ে আমেরিকাতে প্রচুর দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। তাই খুব সহজে আমেরিকাতে কাজ পাওয়া যায়। আর দক্ষ লোকের সংকটের কারণে আমেরিকাতে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি থাকে।

এছাড়াও আমেরিকাতে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন তিন লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে চার লক্ষ টাকা আয় করা যায়। আমেরিকাতে কাজের জন্য গড় বেতন প্রতিমাসে $ ৫৬৭৬ অর্থাৎ ৬ লক্ষ ৭৯১০০ টাকা। এবং গড় বাৎসরিক বেতন $ ৬৮,১২০ ডলার। বাংলাদেশের মোট চায় যার পরিমাণ তারাই বাৎসরিক প্রায় ৮১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য

আমার প্রাণপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমি আশা করি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন যে, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে , আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত , আমেরিকা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে , টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে , স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে , ক্লিনার ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে  এবং মেডিকেল ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে।

আজকের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পোষ্টের মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন সংশোধন করার চেষ্টা করব এবং নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url