বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী কিন্তু যাদের বাসায়
ডেক্সটপ কিনবা ল্যাপটপ কোনটাই নেই তারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০
টি কৌশল জেনে নিন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে
সঠিক তথ্য জানতে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আরও জানতে পারবেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের
সবচেয়ে ডিজেবল সেক্টর কোনটি, ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতা লাগে , নতুন
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি ,ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন
সময় লাগে এবং একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা আয় করে। তাই ভালোভাবে
বোঝার জন্য এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়ুন। আমি আশা করি আপনারা
উপকৃত হবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০ টি কৌশল জেনে নিন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০ টি কৌশল
বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক বেকার যুবক রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে
আগ্রহী। কিন্তু তাদের কাছে ল্যাপটপ কিনবা ডেক্সটপ না থাকায় তারা কাজ করতে
পারেনা। তাহলে চলুন আজকেরে আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নেওয়া যাক
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০ টি কৌশল সম্পর্কে।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতের
সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করা। এটি এমন
একটি কাজ যেখানে আপনি অল্প পরিশ্রম করে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই কাজটি আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে
অনায়াসে করতে পারবেন। কারণ এই কাজ করার জন্য শুধুমাত্র একটি টেক্সট এডিটর
অ্যাপ থাকলে চলবে। আর এই অ্যাপটি দিয়ে আপনি খুব সহজে সুন্দরভাবে কনটেন্ট তৈরি
করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে নিচে অ্যাপসগুলো ইন্সটল করে ব্যবহার করতে
পারেনঃ
- Google docs
- Wps office
- Microsoft office word
- Not pad
ওয়েব ডিজাইনের কাজঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরো কিছু কাজ রয়েছে তার মধ্যে
ওয়েব ডিজাইনের কাজ অন্যতম। এই কাজটা শিখে খুব সহজে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস
থেকে অধিক পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে একটা কথা সত্য যে আপনি যদি মোবাইল
দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে চান তাহলে শুধুমাত্র ব্যাসিক কাজগুলো করতে পারবেন
যেমন এইচটিএমএল সিএসএস ইত্যাদি। আর আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হতে
চান তাহলে আপনার ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ এর প্রয়োজন হবে। ওয়েব ডিজাইনের বেসিক
কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে যে অ্যাপসগুলো ইনস্টল করবেন
তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- Free code camp
- W3schools
- Programming hero
- Solo Learn
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজঃ মানুষের বর্তমান জীবন হচ্ছে
ব্যস্তময় জীবন। তাই এই ব্যস্তময় জীবনে নিজের কাজ সহজ করার জন্য যেমন আমরা
পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখি ঠিক তেমনি ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে এ ধরনের
অ্যাসিস্ট্যান্ট খুঁজে পাওয়া যায় যাকে সাধারণত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
নামে ডাকা হয়। এই কাজগুলো করে আপনি মোটামুটি ভালো আয় করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজগুলো মার্কেটপ্লেস অনেক বেশি দেখা যায়। আর
মজার বিষয় হলো আপনি মোবাইল দিয়েও খুব সহজে এ কাজগুলো করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজঃ ধরুন আপনি একটি মোবাইল কিনতে চান।
কিন্তু আপনি কি হুট করে একটি মোবাইল কিনবেন। অবশ্যই না আপনি বিভিন্ন দিক চিন্তা
ভাবনা করে মোবাইল কিনবেন। যেমন কোন ফোন সবচেয়ে ভালো কোন ফোনের ক্যামেরা
অনেক বেশি ভালো এবং কোন ফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ থাকে ইত্যাদি বিষয়গুলো
আপনি যাচাই-বাছাই করবেন। আর এ বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য আপনি অবশ্যই
সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook অফিশিয়াল পেজে নক দিবেন। তখন সাথে সাথে আপনার
প্রশ্নের উত্তর গুলো সেই ফেসবুক পেজ থেকে খুব অল্প সময়ে জেনে নিতে পারবেন। এই
উত্তরগুলো মানুষ হাত দিয়ে টাইপ করে। আর যে মানুষ এই কাজগুলো করে তাকে মোবাইল
কোম্পানি টাকা দিয়ে রেখেছেন তাই আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চান
তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজারের কাজ করতে পারেন। তাহলে সেখান থেকে মোটা
অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করেঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য যে কাজগুলো করা
যায় তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং অন্যতম একটি কাজ হল কনটেন্ট তৈরি করা।
বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা youtube এ কন্টেন্ট আপলোড করে প্রতি
মাসে 5 থেকে 7 লাখ টাকা ইনকাম করে থাকেন। তাই আপনিও খুব সহজে আপনার হাতে
থাকা মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করুন এবং অনেক টাকা আয়
করুন। তবে ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি ক্যামেরাযুক্ত ফোনের দরকার
হবে। আপনি যদি ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি
ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এই ইউটিউব চ্যানেল খোলা খুবই সহজ। এছাড়াও আপনার
কন্টেন সুন্দর করার জন্য কয়েকটি সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে যা আপনি
ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করার
জন্য যে সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন সেগুলো নিম্ন আলোচনা করা হলোঃ
- Kine Master
- Cupcut
- Youcut
- Power Director
- Youtube Creator Studio
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কোনরকম ইনভেস্ট ছাড়া মোবাইল দিয়ে ইনকাম
করার সবচেয়ে সহজ এবং অন্যতম মাধ্যম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা। যা
আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে খুব সহজে সম্পাদন করতে পারবেন। আপনারা
প্রতিদিন ফেসবুক , ইউটিউব । টিক টক ইত্যাদিতে বিনোদন নিতে যে সময় গুলো
ব্যয় করেন সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে মাসে
আপনি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল সেই
প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন অ্যাফিলিয়েট অন্য ব্যক্তির বা কোম্পানির পণ্য
বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কমিশন পায়।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ঃ আপনার হাতে থাকা ফোন যদি ভালো ছবি
ক্যাপচার করতে সক্ষম হয় এবং আপনারা যদি ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আইডিয়া থাকে।
তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। হতে পারে ফটোগ্রাফি আপনার শখের বিষয়। কিন্তু আপনি এই
ফটোগ্রাফিকেই কাজে লাগিয়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ছবি বিক্রি
করার জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নেওয়া
যাক।
শাটার স্টক , আই এম,ফোপ , shapper এসব সাইটে স্টক ইমেজ ছাড়াও প্রায় সকল
ধরনের ছবি কেনাবেচা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের ছবি এই সাইটে বিক্রি
করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ট্রান্সলেটর করেঃ ট্রান্সলেটর কথাটি শুনে আপনারা হয়তো বুঝতে পারছেন এটি
হচ্ছে একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষায় রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। এই কাজটি
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর অন্যতম
কারণ হলো, এখন ইউটিউবে ভিডিও বানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ভাষা তৈরি করা
হয়। কিন্তু অনেক বাহিরের দেশের মানুষ আছে যারা ভিডিও গুলো দেখে কিন্তু সে ভাষা
বোঝে না সেজন্য ট্রান্সলেট এর মাধ্যমে আপনি যে ভাষার ভিডিও দেখেন না কেন আপনার
সমস্যা হবে না। আর আপনি google ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে আপনি অনেক
টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কাস্টমার সাপোর্ট এর কাজঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার
আরেকটি সহজ মাধ্যম হলো কাস্টমার সাপোর্ট এর কাজ। অনেক বড় বড় কোম্পানি
আছে যাদের কোম্পানির সাপোর্টের জন্য অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে
কাস্টমার সাপোর্ট এর কাজের জন্য কিছু ধরনের কাজ রয়েছে যেমন, কেউ
হয়তো মোবাইলে কথা বলার জন্য সাপোর্টের লোকের প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়াতে
কাস্টমারের সাথে চ্যাট করার জন্য অনেক কোম্পানির লোকের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি
যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাস্টমার সাপোর্ট অথবা কাস্টমার কেয়ার
Executive লিখে সার্চ দেন তাহলে খুব সহজে এ কাজগুলো পেয়ে যাবেন। আর এই কাজগুলো
করার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করেঃ বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইনের
গুরুত্ব এবং মূল্য অনেক বেশি। অর্থাৎ আপনি চাইলে শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইন
করে প্রতি মাসে লাখ টাকার ওপরে আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ল্যাপটপ কিনবা
ডেস্কটপ কোনটারই প্রয়োজন হবে না। আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে
থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে খুব সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। তবে অনেকে আছে যাদের ধারণা মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব
নয়। তাদের ধারণা পুরোপুরি ভুল। কারণ অনেক কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ আছে
যেগুলো মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই সম্পূর্ণ করা হয়। তাই আপনি যদি দক্ষ হন
তাহলে আপনার হাতে থাকা ফোন দিয়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার কাজ করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে গেলে আপনার কিছু অ্যাপস এর দরকার হবে যেগুলো আপনি
বিন আমলে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য যে
অ্যাপসগুলো প্রয়োজন হবে তা আলোচনা করা হলোঃ
- Pexellab
- Picsart
- Canva Pro
- Camtasia
- Photopia
- Adobe Photoshop CC
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিছু কাজের চাহিদা অনেক বেশি
যার মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন , ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং
উল্লেখযোগ্য। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যে কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে
বেশি সেই কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
অনেকে জানতে চাই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বা
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে। বাংলাদেশে
ফ্রিল্যান্সিং এর যেসব কাজ করা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে
চাহিদা সম্পন্ন কাজ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এ কাজটি শেখা যেমন সহজ তেমনি ভাবে
আপনি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং
এর মাধ্যমে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও আরো কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ রয়েছে যেগুলো
বর্তমানে অনেক চাহিদা সম্পন্ন যেমন, গ্রাফিক ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন এবং
ডেভেলপমেন্ট , ভিডিও এডিটিং ও এনিমেশন , ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতার লাগে
আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন? ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল
নির্দিষ্ট একটি বিষয় সিলেক্ট করা এবং সে বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করা।
যেমন সেটা হতে পারে ওয়েব ডিজাইন , গ্রাফিক্স ডিজাইন , কন্টেন্ট রাইটিং
প্রোগ্রামিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করার
জন্য ভালো ইংরেজির দক্ষতা, সময় ব্যবস্থাপনা সমস্যার সমাধান এবং স শৃঙ্খলা
থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজন হয় সেগুলো জেনে নেওয়া যাকঃ
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টঃ আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট
সম্পর্কে কাজ করতে চান তাহলে এখানে কোডিং, ওয়েবসাইট তৈরি এবং ব্যবহারকারীর
অভিজ্ঞতা উন্নত করা এবং উন্নত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে চাইলে আপনাকে লোগো ডিজাইন,
বিজনেস কোড টি-শার্ট ডিজাইন ইত্যাদির ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কনটেন্ট রাইটিংঃ আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে আকর্ষণ এবং
তথ্যবহুল লেখা তৈরি করার দক্ষতা থাকতে হবে।
এছাড়াওএকজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনার যোগাযোগের দক্ষতার, সময়
ব্যবস্থাপনার দক্ষতা, সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা , ইংরেজি ভাষার দক্ষতা ,
বিভিন্ন টুলস এবং সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা , মার্কেটপ্লেস এবং ক্লাইনের
চাহিদা সম্পর্কে ধারণা থাকার দক্ষতা ইত্যাদি। এই দক্ষতা গুলো অর্জন করতে পারলে
আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সফল হতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায়
বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং
শেখা যায় বা ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায় অথবা মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বর্তমান
সময়ের একটি মুক্ত পেশা। করার জন্য আপনাকে কোন অফিসে যেতে হবে না। আপনি বাড়িতে
বসে এ কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন উপায়ে শেখা যায়। এর মধ্যে
একটি হচ্ছে থ্রি আর অন্য টি হল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে কোর্সের
মাধ্যমে শেখা। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কিভাবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং
শেখা যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কিছু সেক্টর রয়েছে যেগুলো আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে খুব
সহজে শিখে নিতে পারবেন। যেমন আপনি বা ফেসবুকে কন্টেন আপলোড দেওয়ার জন্য কিভাবে
ভিডিও এডিটিং করতে হয় সে সকল তথ্য ফ্রিতে জানতে পারবেন ইউটিউবে সার্চ করে
দেখার মাধ্যমে। আপনি চাইলে এভাবে আরো কিছু ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিংয়ের
অন্যান্য কাজগুলো শিখতে পারবেন।
তবে উন্নত মানের ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য আপনাকে কোন ফ্রিল্যান্সিং
প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। তারা আপনাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখাবেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটা জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই
নতুন ফ্রিল্যান্সরা গুগল এ সার্চ দিয়ে থাকেন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য
সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি হতে পারে। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে
নেওয়া যাক নতুন ফিলিন্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আপওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম
অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এ সাইটগুলো নতুনদের জন্য উপযোগী,
সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া খুব সহজ। এছাড়াও গুরু
ডট কম এবং পিপল পার আওয়ার ও নতুনদের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই মার্কেটপ্লেস গুলো কয়েকটি কারণে সাধারণত উপযোগী
হয়ে থাকে যেমন, সহজ রেজিস্ট্রেশন এবং প্রোফাইল তৈরির কারণে, বিভিন্ন
ধরনের কাজ যেমন রাইটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং
ইত্যাদির সুবিধা থাকায়। নিরাপদ পেমেন্ট ব্যবস্থা সুবিধা থাকার জন্য
ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময় লাগে
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় এবং মুক্ত পেশা হওয়ায় এ পেশার
প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। তাই যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে চাই তারা
অনেক সময় গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময় লাগে।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময় লাগবে, তা নির্ভর করে সাধারণত আপনি কোন দক্ষতা
শিখতে চান এবং কতটা সময় দিয়ে শিখতে চান তার ওপর। একটি নতুন দক্ষতা শিখতে
মিনিমাম তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে, তবে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে এটি
দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে। প্রথম কাজ পেতে সাধারণত এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে
পারে, তবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে।
একজন ফ্রিল্যান্সার এক মাসে কত টাকা আয় করে
একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা আয় করে এটার কোন নির্দিষ্ট এমাউন্ট নেই।
ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আয় বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে যেমন
ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা , কাজের ধরন এবং বাজারের চাহিদা।
সাধারণত একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে ২০ থেকে ত্রিশ হাজার বা তার বেশি আয় করতে
পারেন। কিছু ফ্রিল্যান্সার আছে যারা মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয়
করে থাকে।
কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় আছে যা ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আইকে প্রভাবিত করে
যেমনঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা , কাজের ধরন , বাজারের চাহিদা এবং
মার্কেটপ্লেস ইত্যাদির ওপর।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা বিভিন্ন প্লাটফর্মে
কাজ করে থাকেন। কিন্তু তারা অনেকে জানতে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা পাওয়ার
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা তোলার জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম
হলো পেওনিয়ার। এছাড়াও রয়েছে বিকাশ এবং পেপাল কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনপ্রিয়
মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়
ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা তোলার জন্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে পিওনিয়ার অন্যতম
প্রধান কারণ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
বৈশ্বিক পেমেন্ট গ্রহণ এবং বিতরণের সুবিধাঃ পেওনিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের
বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টের থেকে অর্থ গ্রহণ করতে এবং বিভিন্ন দেশে অর্থ পাঠাতে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সহজ এবং দ্রুত লেনদেনঃ পাওনিয়ারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং দ্রুত লেনদেন
করতে পারবেন যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ
সুবিধা।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের সাথে ইন্টিগ্রেশনঃ পেওনিয়ার অনেক জনপ্রিয়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড যা পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরো
অধিক সহস্তর করে তোলে।
স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অর্থ উত্তোলনঃ পেওনিয়ার থেকে আপনি সরাসরি
বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন যা বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি স্বাচ্ছন্দের বিষয়।
অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যম
বিকাশঃ বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের জন্য বিকাশ
একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পাওনিয়ার বা
অন্যান্য অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে অর্থ স্থানান্তর করে স্থায়ীভাবে বা
স্থানীয়ভাবে ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে।
পেপ্যালঃ যদিও পেপ্যাল বাংলাদেশের সরাসরি পেমেন্ট গ্রহণের জন্য ততটা
জনপ্রিয় নয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু মার্কেটপ্লেস বা ক্লায়েন্ট
পেপ্যাল ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করে থাকেন।
সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা তোলার জন্য পেওনিয়ার বিকাশ এবংপেপ্যাল কিছু
ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশে জনপ্রিয় এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত
হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ কোনগুলো জানুন
ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক বেকার যুবক এই পেশা
ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে আগ্রহী। তাই অনেক ফ্রিল্যান্সারে জানতে চাই
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ কোনগুলো। তাহলে চলুন আজকের
আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয়
কাজগুলো সম্পর্কে।
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজগুলোঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্সের ডিজাইন
- মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- 2D কার্টুন এনিমেশন
- Ui/Ux ডিজাইন
- গেম ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কোন কাজ খুব সহজে করা যায
সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং জগতে যেসব কাজ আছে সেসব কাজের মধ্যে বেশিরভাগ কাজে
আমাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে আমরা সম্পন্ন করতে পারি। তবে কিছু কিছু কাজ আছে
যেমন ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এসব কাজগুলো ফাইনাল পর্যায়ে এসে ল্যাপটপ
বা ডেক্সটপ ছাড়া করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া অন্যান্য প্রায় সব কাজে মোবাইলের
মাধ্যমে খুব সহজে করা যায়। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কোন কাজ খুব সহজে করা যায় বা মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে।
- ভিডিও কনটেন্ট তৈরি
- ওয়েব ডিজাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- আর্টিফিশিয়াল মার্কেটিং
- কপি পেস্ট
- ফেসবুকে পেজ তৈরি করে ইত্যাদি।
অর্থ উপার্জনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের নাম জানুন
বাংলাদেশ থেকে বা বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য বেশ কয়েকটি
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেমনঃ আপওয়ার্ক, ফাইবার ,
ফ্রিল্যান্সার ডটকম , পিপল পার আওয়ার , গুরু ডট কম ইত্যাদি। এই
প্লাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমনঃ আর রাইটিং
ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি
এখানে কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে তালিকা তুলে ধরা হলোঃ
আপওয়ার্কঃআপওয়ার্ক একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে
বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্ট বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট পোস্ট করে থাকেন। এখানে
ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে নিতে পারে এবং তাদের কাজের
জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমি পেয়ে থাকেন।
ফাইবারঃ ফাইবার ও একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা
তাদের সার্ভিস গীগ আকারে বিক্রি করে থাকেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস যেমনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি পাওয়া খুব
সহজ।
ফ্রিল্যান্সার ডটকমঃ ফ্রিল্যান্সার ডটকমে প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের
প্রজেক্ট যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন ডাটা এন্ট্রি এবং কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি পাওয়া
যায়। এখানে ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি রেড উভয় ধরনের কাজের সুযোগ অনেক বেশি
রয়েছে।
পিপল পার আওয়ারঃ পিপুল পার আওয়ার প্লাটফর্মে ও বিভিন্ন ধরনের
ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়, যেমন রাইটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।
গুরু ডট কমঃ গুরু ডট কমেও বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে
এছাড়াও গুরু ডট কমে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট পাওয়া যায় এবং এটি একটি বিশ্বস্ত
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম।
এছাড়াও কিছু বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেমনঃ কাজ খুজি যেখানে
দেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেমেন্ট সিস্টেম অনেক সহজ হয়ে থাকে। তাছাড়াও
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার দক্ষতা অর্জন করা এবং সে
অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসে নিজের প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তোলা অনেক
জরুরি। তাই আপনি নিয়মিত কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তাহলে আপনার
পক্ষেও ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া সম্ভব।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
হে আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমি আশা করি আপনারা উপরের আলোচনা থেকে জানতে
পারলেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল সম্পর্কে।এছাড়াও
জানতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়, বর্তমানে
ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন
সময় লাগে, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি
এবংফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি এ
বিষয়গুলো সম্পর্কে
এছাড়াও নিশ্চয়ই অপরাধ আলোচনা থেকে আপনার নানা জানতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে
সেরা 10 টি ফিন্যান্সিংয়ের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। মোবাইল দিয়ে আপনি
বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন যেমনঃ কনটেন্ট
রাইটিং, কন্টেন্ট তৈরি করা, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি , ইউটিউব মার্কেটিং
, ওয়েব ডিজাইন , গ্রাফিক্স ডিজাইন সিপিএ মার্কেটিং , এবং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি সম্পর্কে। এ কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি মাসে
লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
উপরে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আমার
ব্যক্তিগত ধারণা অনুযায়ী তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অন্যতম একটি কাজ
হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ভবিষ্যতে সারাবিশ্বে এ কাজের চাহিদা অনেক বেড়ে যেতে
পারে। তাই যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং
একটি অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। এছাড়াও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকুন। আর এই পোষ্টের মধ্যে কোন ভুল
ত্রুটি থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন সংশোধন করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url