ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫

 ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫ সালে এবং ইউরোপ ভিসা প্রসেসিং ২০২৫, ইউরোপ যেতে কি কি লাগে , সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় , ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।



ইউরোপ দেশগুলোতে যাওয়া প্রত্যেকটি মানুষের কাছে স্বপ্নের মত তাই আপনিও কি  ইউরোপ যেতে চাচ্ছেন। আপনি যদি ইউরোপের যে কোন একটি দেশে যেতে চান তাহলে ভিসার জন্য আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে। এছাড়াও ইউরোপ যে কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে সব রকমের তথ্য আজকের আর্টিকেলের মধ্যে দেওয়া আছে। তাই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫

                      ইউরোপের কোন কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা চালু রয়েছে
                      ইউরোপের যে যে দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু আছে
                      ইউরোপের কোন কোন দেশে টুরিস্ট ভিসা চালু আছে
                      ইউরোপের কোন কোন দেশে বিজনেস ভিসা চালু আছে
                      ইউরোপ যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে
                     বাংলাদেশী টাকায় ১ ইউরো সমান কত

ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫

ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা প্রদান করে থাকেন। তাছাড়াও ইউরোপের অনেকগুলো দেশ আছে যেগুলোতে আপনি যে কোন ভিসায় যেতে পারবেন। ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে আজকের এই পোস্টার মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

বর্তমান ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স , ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন , গ্রীস, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, মাল্টা , সাবিয়া, ফিনল্যান্ড , লিথুনিয়া , লাটভিয়া , সুইজারল্যান্ড , পোলান্ডো , রোমানিয়া , ক্রোয়েশিয়া, জর্জিয়া , বুলগেরিয়া , কসোভো , সুইডেন , সাইপ্রাস , অস্ট্রিয়া , ডেনমার্ক , বেলজিয়াম , চেক প্রজাতন্ত্র , আলবেনিয়া , নরওয়ে ইত্যাদি ইউরোপ দেশের ভিসা চালু রয়েছে।

বর্তমানে কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫

বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারীর পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তাই বর্তমান সময়ে বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য অনেক দেশের ভিসা চালু রয়েছে। বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পর্যটন , উচ্চশিক্ষা এবং বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। তাই বর্তমানে কোন কোন ভিসা চালু রয়েছে তা আলোচনা করা হলোঃ

বর্তমানে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন দেশের ভিসা চালু রয়েছে যেমন সেনজেন ভিসা, ইউরোপ ভিসা , থাইল্যান্ড , মালয়েশিয়া , ইন্দোনেশিয়া , জাপা্‌ন, দক্ষিণ কোরিয়া , সৌদি আরব , কাতার , কুয়েত , নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা চালু রয়েছে।

ইউরোপ যেতে কি কি লাগে ২০২৫

অনেক বাংলাদেশীর স্বপ্ন ইউরোপ যাওয়া কিন্তু তারা হয়তো অনেকেই জানে না ইউরোপ যেতে কি কি লাগে। ইউরোপ যেতে হলে মূলত ভিসা, পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আবেদনকারীর একটি বৈধ পাসপোর্ট , ছবি , ভ্রমণের পরিকল্পনা , বিমানের টিকিট এবং ভ্রমণ বীমা অবশ্যই থাকতে হবে। তাছাড়াও কিছু দেশ আছে যেগুলোতে অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট যেমন-ব্যাংক স্টেটমেন্ট , কাজের প্রমাণপত্র ইত্যাদিও বিশেষ কাজে প্রয়োজন হতে পারে।

পাসপোর্টঃ ইউরোপের যেকোনো দেশে যেতে হলে আপনার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ ভ্রমণের তারিখের পর আরো ছয় মাস থাকা প্রয়োজন।

ভিসাঃ ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য থাকার ব্যবস্থা এবং আর্থিক সঙ্গতির প্রমাণ দেখানো বাঞ্ছনীয়।

ভিসার আবেদনপত্রঃ ভিসার জন্য আবেদন করার সময় একটি সঠিক আবেদন পত্র আপনাকে পূরণ করতে হবে।

পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ সম্প্রতি তোলা আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।

ভ্রমণ প্যাকেজ বা পরিকল্পনাঃ অনেক সময় ইউরোপে ভ্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা বা প্যাকেজ জমা দিতে হতে পারে।

বিমান টিকিটঃ আপনাকে রাউন্ড টিপে টিকেট বা ফ্লাইট নাম্বার জমা দিতে হতে পারে।

ভ্রমণ বীমাঃ সাধারণত অনেক সময় ৩০,০০০ ইউরোর সমপরিমাণ কাভারেজ সহ ভ্রমণ বীমার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

অন্যান্য কাগজপত্রঃ অন্যান্য কাগজপত্র বলতে কিছু দেশে ব্যাংক স্টেটমেন্ট কাজের অনুমতি ইত্যাদি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস

কিছু দেশ রয়েছে, বিশেষ করে সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের তারিখ এবং প্রস্থানের তারিখ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।

আপনার ভিসার মেয়াদ এবং থাকার সময়ের দিকে মনোযোগ দিন যাতে সেখানে গিয়ে আপনাকে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।

কিছু ওয়েবসাইট এবং সংস্থা রয়েছে যারা ইউরোপে ভ্রমণ এবং ভিসা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

ইউরোপ ভিসা প্রসেসিং ২০২৫

ইউরোপের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যেখানে একজন আবেদনকারীকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। সাধারণত ভিসার জন্য আবেদন করার সময় একটি ফরম পূরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয়  কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও আবেদন করার পর, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য দূতাবাস বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।ভিসা প্রসেসিং এর ধাপগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-

সঠিক ভিসা নির্বাচনঃ আপনি যে উদ্দেশ্যে ইউরোপ যেতে চাচ্ছেন যেমন ভ্রমণ, পড়াশোনা , কাজ ইত্যাদি সে অনুযায়ী সঠিক ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। আপনি জার্মান দূতাবাস ঢাকা এই ওয়েবসাইটে সেনজেন ভিসা ফরমের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।

আবেদনপত্র পূরণঃ অনলাইনে কিংবা সরাসরি আপনাকে দূতাবাস থেকে ভিসা আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহঃ ভিসার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র যেমন-পাসপোর্ট, ছবি, ভ্রমণ পরিকল্পনা , বিমানের টিকিট , ট্রাভেল ইন্সুরেন্স , আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।

ভিসা ফি প্রদানঃ আপনাকে ভিসা প্রসেসিং ফি পরিশোধ করতে হবে। আপনি ভিসা আবেদন কেন্দ্র বি এফ এস গ্লোবাল ওয়েবসাইটে ফি এবং পেমেন্টের বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

আবেদন জমা দেওয়াঃ আপনাকে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এবং ফি সহ আবেদন পত্রটি দূতাবাস বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে জমা দিতে হবে।

সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতিঃ অনেক সময় ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকা হতে পারে তাই সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা করাঃ ভিসা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। এটি সাধারণত দূতাবাস বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে।

ফলাফল জানা এবং পাসপোর্ট সংগ্রহঃ ভিসা প্রক্রিয়াকরণের পর সাধারণত ফলাফল জানা যাবে এবং ভিসা সম্পন্ন হলে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ভিসা আবেদন করার তারিখ থেকে মিনিমাম ছয় মাস থাকতে হবে।

আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং ভিসার উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে আপনাকে কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

আপনার আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণ করতে হবে যাতে করে দূতাবাস বুঝতে পারে যে আপনি নিজের খরচ বহন করতে সক্ষম।

কিছু দেশে অনলাইন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আপনার জন্য অনেক সুবিধা জনক হতে পারে।

ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় এবং ফি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

ইউরোপের ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশে কাজ করে থাকেন। এই এজেন্সি গুলি ভিসা আবেদন পত্র পূরণ করা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা এবং ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি নিতে অনেক সাহায্য করে। বাংলাদেশে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য ভিসা এজেন্সি রয়েছে আজকের আর্টিকেলের সাহায্যে নিম্নে সেই এজেন্সির নাম গুলো আলোচনা করা হলঃ

ডি এফ এস গ্লোবালঃ এই সংস্থাটি বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন।

বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিঃ অনেক ট্রাভেল এজেন্সির রয়েছে যারা ভিসা প্রসেসিং এ অনেক সাহায্য করে যেমন সেয়ার ট্রিপ ইত্যাদি।

এছাড়াও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সহায়তার জন্য আপনি এই এজেন্সি গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। তাছাড়াও আপনি ইউরোপীয় দূতাবাস বা কনসুলেটের ওয়েবসাইটে গিয়েও প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।

ইউরোপের কোন দেশে যেতে খরচ কম



ইউরোপে ভ্রমণের জন্য কিছু দেশ আছে যেখানে খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হাঙ্গেরি, পোলান্ডো, বুলগেরিয়া , পর্তুগাল , লাডভিয়া , জর্জিয়া , আলবেরিয়া , চেক প্রজাতন্ত্র এবং রোমানিয়া ইত্যাদি। এই দেশগুলোতে থাকা খাওয়ার তুলনামূলকভাবে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে সাধারণত অনেক কম হয়ে থাকে।

কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

কম জনপ্রিয় গন্তব্য গুলি বেছে নিনঃ কিছু কম পরিচিত গন্তব্যস্থল বেছে নিন যেমন পলান্ডো, হাঙ্গেরি বুলগেরিয়া , পর্তুগাল , লাটভিয়া , জর্জিয়া , আলবেরিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা হয়ে থাকে।

সস্তা ফ্লাইট খুজুনঃ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইট বুকিং ওয়েবসাইট থেকে যাচাই-বাছাই করে দেখুন বিশেষ করে অফার পিক সিজনে ভ্রমণের চেষ্টা করুন কম খরচে।

সস্তা থাকার ব্যবস্থাঃ হোস্টেল, গেস্ট হাউস বা স্বল্প মেয়াদী ভাড়ার এপার্টমেন্ট খুঁজুন।

স্থানীয় খাবার খানঃ আপনি স্থানীয় রেস্তোরাঁ বা রাস্তার খাবার খেয়ে দেখুন যা সাধারণত সস্তায় ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুনঃ আপনি কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ করতে চাইলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট কারের পরিবর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করবেন।

সস্তার ভ্রমণের অফার গুলো খুঁজুনঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ট্রাভেল এজেন্স এর কাছ থেকে ডিসকাউন্ট বা অফার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন।

ভিসা এবং অন্যান্য খরচ সম্পর্কে জানুনঃ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হতে পারে তাই ভিসা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিন।

আপনি ইচ্ছা করলে এই টিপস গুলো ব্যবহার করে খুব সহজে ইউরোপ ভ্রমণের খরচ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে পারবেন।

সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫

বাংলাদেশের অনেক মানুষ সরকারিভাবে ইউরোপ যেতে চাই কিন্তু অনেকে জানে না সরকারিভাবে  ইউরোপ যাওয়ার উপায় বা সরকারিভাবে ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে সে সম্পর্কে । সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য, আপনাকে প্রথম একটি উপযুক্ত ভিসা নির্বাচন করতে হবে। সেটা সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা , টুরিস্ট ভিসা এবং ফ্যামিলি ভিসা হতে পারে। আপনি এগুলোর মধ্যে যে ভিসায় ইউরোপ যেতে চান তার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে আপনি যে দেশে যেতে চান সেখানকার দূতাবাস বা কনসুলেটের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

কিছু দেশে কর্মী নিয়োগের জন্য সরকারিভাবে কার্যক্রম চালু হয়েছে যেমন জার্মান, ইতালি , ফ্রান্স , রোমানিয়া এবং গ্রিসে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নেওয়ার জন্য জুন মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আপনার যদি ইউরোপে যাওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে যেমন-পড়াশোনা, কাজ , বা ভ্রমণ ইত্যাদি তাহলে সে অনুযায়ী ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময় আপনার পাসপোর্ট, ছবি , আবেদন ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

২০২৫ সালের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন। সাধারণত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া নির্ভর করে আপনার যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর এবং আপনি যে দেশে যেতে চান তার চাহিদার উপর। এছাড়াও ট ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে আবার কিছু দেশে কঠিন হতে পারে।

কিছু কিছু দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সহজ হতে পারে যেমনঃ

এস্তোনিয়াঃ এস্তোনিয়া একটি ছোট উপকূলীয় দেশ এবং এখানে কাজের ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ।

জার্মানিঃ জার্মানি প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল খাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিসা প্রদান করা হয়।

পর্তুগালঃ পর্তুগালে কাজের ভিসা এবং বসবাস সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি ইউটিউবে সার্চ দিলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।

IELTS করে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে


ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে  IELTS মাধ্যমে ইউরোপ জেতে কত টাকা লাগে। ইউরোপ IELTS দিয়ে যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন, কোন প্রোগ্রামে পড়েছেন এবং আপনার জীবনযাত্রার মানের উপরে। সাধারণত টিউশন ফি, ভিসা প্রসেসিং IELTS পরীক্ষার খরচ , থাকার খরচ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রায় পাঁচ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি লাগতে পারে।

কিছু দেশ রয়েছে তাদের টিউশন ফি কম আবার কিছু দেশের টিউশন ফি বেশি। যেমন জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি প্রায় নেই বললেই চলে তবে থাকার খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে। অন্যদিকে কিছু দেশে টিউশন ফি বেশি কিন্তু অন্যান্য খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।

কিছু দেশে IELTS স্কোর অনেক বেশি প্রয়োজন, আবার কিছু দেশে কম স্কোর দিয়েও ইউরোপ যাওয়া যায়। তবে ভালো IELTS স্কোর থাকলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ কিছু দেশে IELTS স্কোর এবং আনুমানিক খরচ নিচে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলোঃ

জার্মানিঃ জার্মানিতে টিউশন ফি সাধারণত কম বা বিনামূল্যে হয়ে থাকে তবে থাকার খরচ বেশি হতে পারে। জার্মানিতে IELTS-এ ৬.০ থেকে ৬.৫ স্কোর প্রয়োজন হতে পারে।

পর্তুগালঃ পর্তুগালে টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে কম এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ পাওয়া যায়। পর্তুগালে IELTS স্কোর সাধারণত ৬.০ থেকে ৬.৫ প্রয়োজন হতে পারে।

নেদারল্যান্ডঃ নেদারল্যান্ডে টিউশন ফি বেশি তবে স্কলারশিপ এবং পার্ট টাইম কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে IELTS ৬.০ থেকে ৬.৫ প্রয়োজন হতে পারে। 

অস্ট্রিয়াঃ অস্ট্রিয়াতে টিউশন ফি কম, তবে থাকার খরচ বেশি এখানে IELTS এ ৬.০ থেকে ৬.৫ স্কোয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

FAQs সর্বশেষ

ইউরোপের কোন কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা চালু রয়েছে

২০২৫ সালের শুরু থেকে অনেক শিক্ষার্থী জান্তা আগ্রহী ইউরোপের কোন কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা চালু আছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এখনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। তাই স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটি দেশের নাম তুলে ধরা হলোঃ-জার্মানি, ফ্রান্স , ইতালি, নেদারল্যান্ড , পেন এবং ফিনল্যান্ড।

ইউরোপের যে যে দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু আছে

২০২৫ সালে ইউরোপের কোন কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু আছে এ প্রশ্নটি সবচেয়ে বেশি শোনা যায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছ থেকে। তাই ইউরোপের যে সকল দেশ ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-জার্মানি, পোলান্ডো , চেক রিপাবলিক  এবং রোমানিয়া।

ইউরোপের কোন কোন দেশে টুরিস্ট ভিসা চালু আছে

পর্যটকদের জন্য ইউরোপের কোন কোন দেশে টুরিস্ট ভিসা চালু রয়েছে তা বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচের কয়েকটি ইউরোপের টুরিস্ট দেশগুলোর নাম তুলে ধরা হলোঃ-ফ্রান্স, ইতালি , সুইজারল্যান্ড , অস্ট্রেলিয়া , স্পেন এবং পর্তুগাল।

ইউরোপের কোন কোন দেশে বিজনেস ভিসা চালু আছে

ব্যবসায়ীদের জন্য ২০২৫ সালে ইউরোপের কোন কোন দেশে বিজনেস ভিসা চালু আছে তা জানা অত্যন্ত জরুরী। ইউরোপের কোন কোন দেশে বিজনেস ভিসা চালু রয়েছে তা আলোচনা করা হলোঃ-জার্মানি, নেদারল্যান্ড , বেলজিয়াম , সুইডেন এবং ডেনমার্ক।

ইউরোপ যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে



ইউরোপ যেতে কত ঘন্টা সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনি বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন এবং কোন শহর থেকে যাত্রা করছেন তার ওপরে। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের ফ্লাইট গুলি ৭ থেকে ১৫ ঘন্টা বা তার বেশি সময় নিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন সংক্ষিপ্ত দূরত্বের ইউরোপীয় ফ্লাইট, ২.৫ থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগতে পারে। তবে দীর্ঘ দূরত্বের বা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য তিন থেকে চার ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে আপনার পৌঁছানো উচিত।

বাংলাদেশী টাকায় ১ ইউরো সমান কত

সর্বশেষ মুদ্রা বিনিময় হারঃ এক ইউরো= ১৪৪.২৭৩ বাংলাদেশের টাকায়।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানতে পেরেছেন যে ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫। এবং ইউরোপ ভিসা প্রসেসিং ২০২৫, ইউরোপ যেতে কি কি লাগে, ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ , সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫ , ইউরোপের কোন কোন দেশে যেতে খরচ কম , ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।

আমি আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url