মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কিভাবে চিরতরে মেছতা দূর করা যায় তার উপায়
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। তাহলে চলুন
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজে মেছতা দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে
জেনে নেওয়া যাক।
মেছতা দূর করার জন্য আমরা অনেক টাকা খরচ করে থাকে শুধুমাত্র একটু উজ্জ্বল
ত্বকের জন্য। এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে চিরতরে
মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ, ছেলে ও মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় ,
মেছতা দূর করার সিরাম, মেছতা দূর করার ফেসওয়াশ এবং মেছতা দূর করার ক্রিম
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ চিরতরে মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে পড়ুন
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না আমাদের ত্বকে বা স্কিনে মেলানোসাইট সেল বা কোষ থাকে
আর এর একমাত্র কাজ হচ্ছে মেলানিন নামক একটি পদার্থ উৎপন্ন করা। এই মেলানিন
পদার্থ দ্বারা আমাদের ত্বকে অনেক সময় কালো আবার অনেক সময় ফর্সা দাগ দেখা দেয়।
এটি সাধারণত মেলানের জন্যই হয়ে থাকে। যাদের ত্বকে বেশি পরিমাণে মেলানিন রয়েছে
তাদের ত্বক বেশি কালো আর শ্যাম বর্ণের হয়। এবং যাদের স্ক্রিনে মেলানিন এর পরিমাণ
কম থাকে তাদের ত্বক একটু বেশি ফর্সা হয়।
যখন আমাদের স্কিনে বিভিন্ন দাগ বা মেছতা দেখা দেয় তখন বুঝে নিতে হবে
যে আমাদের ত্বকের কোষে মেলানিন এর পরিমাণ কিছুটা বেড়ে গেছে। অনেক মানুষ আছে যে
মেছতাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বলে মনে করেন, কিন্তু আসলে এটা ফাংগাল ইনফেকশন নয়। আবার
অনেক মানুষ রয়েছে যারা ত্বকে সাধারণ ইনফেকশন বলে অ্যান্টি ফাংগাল ক্রিম বা অন্য
কিছু ব্যবহার করে থাকেন এতে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। আমাদের শরীরের সব জায়গা ঢাকা
থাকলেও মুখমন্ডল সবসময় খোলা অবস্থায় থাকে।
তাই সূর্যের রশি সরাসরি আমাদের মুখে এসে লাগে এর ফলে আস্তে আস্তে আমাদের ত্বকে
মেছতা অনেক বেড়ে যেতে পারে। আবার অনেকে রয়েছেন যারা চুলায় রান্না করার সময়
চুলার তাপে ফলে তাদের ত্বকে মেছতা তৈরি হতে পারে। আবার অনেক সময় গর্ভবতী
মহিলাদের ত্বকে মেছতা দেখা যায়। তাই যাদের মুখে অতিরিক্ত মেছতা দেখা যায়
তারা দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে মেছতা ভালো না হলে তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ
নেয়া উচিত।
চিরতর মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য অধিকাংশ মানুষ গুগল বা
ইউটিউবে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে চিরতরে মেস্তা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
চিরতরের মেস্তা দূর করতে হলে, অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম নীতি অনুশীলন করে চলতে
হবে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মেছতা দূর করার জন্য সুষম খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। তাই প্রতিটি মানুষের
নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। তাই আপনারা প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাবেন
এবং চর্বি ও চিনি জাতীয় খাবার কম খাবেন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে
হবে দিনে রাতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় লিটার পানি পান করতে হবে একজন মানুষকে।
কারণ পানি মানুষের শরীর সুস্থ রাখে,ত্বককে সজীব করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ
বের হতে সাহায্য করে।
এছাড়াও প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যায়াম একজন মানুষের
শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য করে এবং মেছতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে কারণ কম ঘুম হওয়ার কারণে মেছতা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
মানসিকভাবে অতিরিক্ত চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত
টেনশন স্বাস্থ্য এবং ত্বক দুটোর জন্যই ক্ষতিকর।
এছাড়াও চিরতরের মেছতা দূর করার জন্য ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে
হবে। আপনি যখন বাহিরের কাজ সেরে বাসায় আসবেন তখন অবশ্যই আপনার ত্বক পরিষ্কার
রাখার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখতে পারেন তাহলে মেছতা
হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। আমি আশা করি চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে
বুঝতে পেরেছেন।
আমরা যে কোন উপায়ে মেছতা দূর করি না কেন, মেছতা দূর করার সবথেকে ভালো
উপায় হল প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মেছতা দূর করা। প্রাকৃতিক উপায় মেছতা দূর করতে তেমন
কোন খরচ হয় না। এছাড়াও এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না এবং স্কিনের
ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে
মেছতা দূর করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু
ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে তাহলে আপনারা খুব সহজে প্রাকৃতিক উপায়ে
মেছতা দূর করতে পারবেন। কিন্তু একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে প্রাকৃতিক
উপায় অবলম্বন করলে আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আপনি ধৈর্য সহকারে প্রাকৃতিক
উপাদান গুলো ব্যবহার করলে তবে ভালো ফলাফল পাবেন।
কাঁচা হলুদঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ন্যাচারাল স্কিন টোনার হিসেবে কাঁচা
হলুদ অনেক পরিচিত। কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা নানা গুনাগুন ত্বকের মেলানিন
কমিয়ে মেছতা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। প্রথমে কাঁচা হলুদ বেটে নিন এরপরে এক চা
চামচ কাঁচা হলুদের মধ্যে চার চা চামচ তরল দুধ দিন। এরপরে হলুদ এবং দুধ পেস্ট
বানিয়ে মুখে লাগান। এরপরে মুখে লাগানো পেস্টি ২০ মিনিট রাখার পর ভালোভাবে
ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করার পর আপনের ত্বক উজ্জ্বল
এবং মসৃণ দেখাবে। তবে রোদে থাকা অবস্থায় এটি ব্যবহার করবেন না তাহলে ত্বকের
ক্ষতি হতে পারে।
লেবুর রসঃ আমরা জানি রূপচর্চার কাজে লেবুর রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। লেবুর রসে যে সাইট্রিক এসিড রয়েছে সেটি ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য
করে। আপনি একটি টাটকা লেবু থেকে রস বের করে তুলার সাহায্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট
মেছতার ওপর লাগিয়ে রেখে দেন এবং তারপরে খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন এভাবে
দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করার ফলে আপনার মুখের মেছতা দূর হয়ে যাবে।
চন্দন গুড়াঃ ত্বকের মেছতা দূর করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে চন্দন
গুড়া। এটি ত্বকের যে কোন দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। সমপরিমাণ চন্দন
গুড়া, দুধ এবং হলুদ মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে মেছতার স্থানে লাগান।
এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন তারপরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
দেখবেন সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করে ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক অনেক
উজ্জ্বল এবং সুন্দর হবে।
ওটমিলঃ ওটমিল ত্বকের বাদামি দাগ এবং মরা চামড়া দূর করে ত্বককে সুন্দর এবং
উজ্জ্বল করে তোলে। সর্বপ্রথম আপনি ২ চা চামচ ওটমিল ২ চা চামচ দুধ এবং এক চা চামচ
মধু মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বকের দাগ অনেক
কমে গেছে।
কাঠবাদামঃ কাঠ বাদামে থাকা হাইপ্রোটিন এবং ভিটামিন সি ত্বক সুন্দর এবং
মসৃণ করে। দুই চা কাঠ বাদামের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট
বানিয়ে নিন। এরপরে মেছতা আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন এরপর
হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করুন
যতক্ষণ না আপনি কোন এর কোন উপকার পাচ্ছেন।
পাকা পেঁপেঃ পাকা পেপেতে থাকে পেঁপেইন এনজাইম যা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে
কাজ করে। এছাড়াও পাকা পেঁপে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ কে সারিয়ে তোলে এবং
মৃতকোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। আধা পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ব্লেন্ড
করা পেঁপের সাথে দুই টেবিল চা চামচ মধু মিশিয়ে মেস্তা পড়া স্থানে লাগিয়ে ২০
মিনিট রেখে দিন।. এরপর ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে
কয়েক মাস ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের সমস্ত মেছতা দূর হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা জেলঃ ত্বককে সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে এলোভেরা জেলের জুরি মেলা
ভার। অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আপনার ত্বকের মেছতাকে
ভেতর থেকে ছাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে ভেতর
থেকে জেলটুকু বের করে নেবেন। এরপর জেলটুকু মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে
ম্যাসাজ করবেন। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন
আপনার ত্বক। এভাবে প্রতিদিন দুইবার করে টানা তিন মাস ব্যবহার করতে হবে।
শসার রসঃ মেছতা দুর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী উপাদান হচ্ছে
শসার রস। শসার রসে রয়েছে প্রাকৃতিক প্রোপার্টি যা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শসার রস তুলবা কটনের সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে ২০
থেকে ২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বককে সতেজ এবং সজীব রাখতে সাহায্য
করবে।
নারকেল তেলঃ নারিকেল তেল ত্বকের মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে এবং
ত্বকের মেছতা হালকা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর
আগে নারকেল তেল লাগিয়ে ঘুমাবেন এবং সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আপনি দেখবেন আপনার ত্বকের
মেলানিন উপাদান কমিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ মেছতা দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি এবং
ভিটামিন ই রয়েছে এসব খাবার ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়াও প্রতিদিন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেন আপনার ত্বক সতেজ থাকে।
মেছতা দূর করা ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানুন
যাদের মুখে অনেক বেশি পরিমাণ মেছতা দেখা দেয় তারা অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন
কোন ক্রিম মাখলে ত্বকের মেছতা দূর হয়। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
খুব সহজে জেনে নেওয়া যাক মেছতা দূর করার কিছু জনপ্রিয় ক্রিমের নাম সম্পর্কে।
মেছতা দূর করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্রিম বাজারে খুব জনপ্রিয়। এর মধ্যে কিছু
জনপ্রিয় ক্রিমের নাম আলোচনা করা হলোঃ মেস্তা কেয়ার মেলানিক এবং কিছু ক্ষেত্রে
চিকিৎসকের পরামর্শে হাইড্রোকুইনোন এসিটোনাইট ও ট্রিটিনয়িন সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার
করা হয়। তবে মেস্তা দূর করার জন্য ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন ত্বক
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উত্তম কারণ প্রত্যেকটি ক্রিম সবার জন্য সমানভাবে কাজ
করতে নাও পারে।
মেছতা দূর করার সিরাম
মেছতা দূর করার জন্য সিরাম একটি কার্যকারী সমাধান হতে পারে আপনার জন্য। কারণ
সিরামে হাইড্রোকুইনোন, মেছতা রেটিনাল ভিটামিন সি বা টেপটাইড এর মত উপাদান
গুলো থাকে।হাইড্রোকুইনোন মেছতা কমাতে সাহায্য করে কারণ এটি ত্বকের
টাইরোসিনেট এনজাইমকে বাধা দেয় রেটিনাল কোলাজেন উপাদানকে উদ্দীপিত করে
এবং কোষের পূর্ণ বিকিরণকে ত্বরান্বিত করে যা মেছতার দাগ হালকা করতে অনেক সাহায্য
করে। ভিটামিন সি এবং পেপটাইট ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং মেছতার দাগ কমাতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মেছতা দাগ দূর করতে সিরামের ব্যবহারের কিছু উপায় নিচে আলোচনা করা হলোঃ
হাইড্রোকুইনোন সিরামঃহাইড্রোকুইনোন একটি জনপ্রিয় উপাদান যা মেসতার
চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি মেলানিন উপাদান কমিয়ে মেছতার দাগ হালকা করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রেটিনল সিরামঃরেটিনল ভিটামিন এ- এর একটি রূপ যা ত্বকের কোষের পূর্ণ
বিকিরণকে উৎসাহিত করে এবং মেছতার দাগ কমাতে অনেক সাহায্য করে।
ভিটামিন সি সিরামঃ ভিটামিন সি একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বককে মসৃণ ও
উজ্জ্বল করে এবং মেছতার দাগ কমাতে অনেক সাহায্য করে।
পেপটাইড সিরামঃপেপটাইড কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা ত্বকের
স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং মেছতার দাগ হালকা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও মেছতার দাগ দূর করার জন্য সিরাম ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন ত্বক
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ কিছু সিরাম ত্বকে জালা বা সংবেদনশীলতা তৈরি
করে। এছাড়াও সিরাম ব্যবহারের সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ
কিছু উপাদান ত্বককে সূর্যের আলোতে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়
মেয়েরা মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আবার কেউ কেউ
মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। মেয়েদের মেছতা দূর করার
জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে এর সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি
পাওয়া যেতে পারে ।নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার, ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং কিছু
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মেস্তার দাগ হালকা করা যেতে পারে।তবে যদি সমস্যা
বেশি হয় তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মেয়েদের মেছতা দূর করার কিছু সাধারন উপায় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
সূর্যালোক থেকে ত্বক রক্ষা করা,ত্বক পরিষ্কার রাখা , প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার
করা , ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া , স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ কমানো
এই উপাদান গুলো অনুসরণ করে আপনি মেছতার সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে
পারেন।
পুরুষের মেছতা দূর করার উপায়
পুরুষের মেছতা দূর করার জন্য কিছু উপায় আছে যা ঘরোয়া এবং চিকিৎসার মাধ্যমে খুব
সহজে করা যেতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতির মধ্যে আছে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যা
অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে।এছাড়াও এলোভেরা,টক দই ,
লেবুর রস,আমন্ড অয়েল এবং কফির মার্কস ব্যবহার করা যেতে পারে এছাড়া চিকিৎসকের
পরামর্শে কিছু ক্রিম পিল বা লেজার চিকিৎসার মাধ্যমেও খুব সহজে মেছতা দূর করা
যায়।
পুরুষের মেছতা দূর করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
সানস্ক্রিন ব্যবহারঃ সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য
প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জিংক অক্সাইড ও টাইটানিয়াম
অক্সাইডযুক্ত সান ক্রিম ব্যবহার করা ভালো।
অ্যালোভেরা ও কফি মাক্সঃ অ্যালোভেরার সাথে কফি মিশিয়ে একটি মাক্স তৈরি
করে মুখে লাগালে মেছতার দাগ হালকা হতে পারে এবং এটি ত্বককে সুন্দর এবং মসৃণ
করে।
টক দই এবং লেবুর রসঃ টকদই এবং লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল
এবং মসৃণ হবে তার সাথে মেছতার দাগ হালকা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আমন্ড অয়েলঃ আমন্ড অয়েল হালকা গরম করে ত্বকে মেসেজ করলে উপকার পাওয়া
যায় এবং এটি ত্বককে মশ্চারাইজ করে তাছাড়াও এটি ত্বকের হালকা দাগ দূর করতে
সাহায্য করে।
এছাড়াও মেস্তা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো চেষ্টা করার পাশাপাশি আপনি একজন
ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা করবেন। কারণ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার
রাখা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করো মেছতা
প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মেছতা দূর করার ফেসওয়াশ
মেছতা দূর করার জন্য বাজারে কিছু ফেসওয়াশ পাওয়া যায় যেমন গ্লিসারিন এনটি
মেলাজমা ফেসওয়াশ এবং ডার্মামেন্ট ফেসওয়াশ এগুলো মেস্তার দাগ হালকা করতে এবং
ত্বককে উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে
ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে তবে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া
উচিত।
এছাড়াও মেছতার দাগ দূর করার জন্য উপযুক্ত ফেসওয়াশ নির্বাচন করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেসওয়াশে গ্ল যেতে ইকোলিক এসিড থাকে যা হাইপার পিকমেন্টেশন
কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও ভিটামিন সি এবং অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ব্যবহার
করা যেতে পারে।
মেছতা দূর করার ঔষধ
মেছতা দূর করার ঔষধ সম্পর্কে অনেকে জানতে আগ্রহী এবং ওষুধ খাওয়ার ফলে কিভাবে
মেছতা দূর করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আপনি যদি আপনার মেজতা দূর করার
জন্য ওষুধ খেতে চান তবে সে ক্ষেত্রে ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে
হবে।
ইন্টারনেটে ওষুধের নাম দেখে কিনে খাওয়া উচিত নয় কেননা এতে আপনার ক্ষতি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এছাড়াও আপনি ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে মেছতা দূর
করতে পারেন যা আজকের আর্টিকেলের ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রাণপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমি আশা করি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে
পেরেছেন যে চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়, মেছতা দূর করার ঘরোয়া
উপায়,মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় , ছেলেদের মেছতা দূর করার উপায়,
মেছতা দূর করার সিরাম,মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম ,মেছতা দূর করার
ফেসওয়াশ এবং মেস্তা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
তাই চিরতরে মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে। আপনাদের যদি মেছতার সমস্যা থেকে থাকে
তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করবেন কারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোন
সাইট ইফেক্ট থাকে না। আর আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url