বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ২০২৫

আপনি কি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাহলে আর দেরি নয় আজই আবেদন করুন বিএমইটি রেজিস্টেশন। আপনি কিভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করবেন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন। বিএমইটি হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান।



বিএমইটি বাংলাদেশ সরকার বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এই পোস্টটি আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে,বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম , বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফি ,বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে ২০২৫ এবং বিএমইটি চেক করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃবিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ২০২৫ জানতে পড়ুন

                     বিএমইটি পূর্ণরূপ কি
                     বিএমইটি কার্ড কি
                     বিএমইটি কার্ডের মেয়াদ কত বছর
                     বিএমইটি কাজ কি

বিএমইটি (BMET) রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ২০২৫

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেক মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আমি আশা করি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে খুব সহজে বুঝতে পারবেন।বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আমি প্রবাসী অ্যাপ এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপ এ রেজিস্ট্রেশন করে প্রবেশ করার পর। আমি প্রবাসী অ্যাপ এ বিভিন্ন ধরনের অপশন আপনি দেখতে পাবেন। যেগুলো অপশন আপনি দেখতে পাবেন সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ ভ্যাক্রিন রেজিস্ট্রেশন, জনশক্তি অফিস , মেডিকেল সেন্টার , পাসপোর্ট অফিস , রিকুটিং এজেন্সি অফিস , ট্রেনিং সেন্টার এবং দূতাবাস সহ আরো বিভিন্ন ধরনের অপশন দেখা যাবে।

তাই আপনার যখন যে সেবার প্রয়োজন হবে তখন আপনি সেই সেবা এখান থেকে খুব সহজে গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি যেহেতু বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নেওয়া যাক বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার ধাপগুলোঃ

ধাপ ১ঃ আপনাকে দেশ নির্বাচন করতে হবে

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম জানতে সর্বপ্রথম আপনি "আমি প্রবাসী" অ্যাপ এখানে প্রবেশ করুন। এরপর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করুন। আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশটি সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ২ঃ পাসপোর্টের তথ্য প্রদান করতে হবে  

আপনারা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আপনি পাসপোর্ট স্ক্যান করুন অপশনে ক্লিক করবেন। আপনি চাইলে পাসপোর্ট এর ছবি গ্যালারি থেকে অথবা ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে আপলোড করতে পারেন।

আপনার পাসপোর্ট এর ছবি আপলোড করার মাধ্যমে অটোমেটিক ভাবে পাসপোর্ট নম্বর বসে যাবে এবং বাকি তথ্যগুলো আপনার পাসপোর্ট অনুসারে বসাতে হবে যেমন,

আপনার নাম লিখতে হবে
পাসপোর্ট নম্বর(অটোমেটিক ভাবে বসে যাবে)
পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ সিলেক্ট করতে হবে
পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ সিলেক্ট করতে হবে
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র
জন্ম তারিখ সিলেক্ট করতে হবে
আপনি পুরুষ নাকি মহিলা সেটি সিলেক্ট করুন

পাসপোর্ট অনুযায়ী সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে সিলেক্ট করে আপনি পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
 

ধাপ ৩ঃ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে

এরপরআপনার পাসপোর্ট অনুসারে ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে যেমন,

আপনার পিতার সিলেক্ট করতে হবে
আপনার মায়ের নাম সিলেক্ট করতে হবে
বৈবাহিক অবস্থা সিলেক্ট করতে হবে( আপনি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম সিলেক্ট করতে হবে)
আপনার ধর্ম সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন ধর্মের মানুষ
আপনার উচ্চতা কতটুকু তা সিলেক্ট করতে হবে

সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৪ঃ আপনার সাথে যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে



এবার আপনাকে পাসপোর্ট অনুসারে যোগাযোগের জন্য তথ্য প্রদান করতে হবে। যাতে করে আপনার সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করা যায় যেমন, 

আপনার মোবাইল নম্বর(যে নম্বরটি সব সময় সচল থাকে)
এরপর আপনার ইমেইল এড্রেস লিখুন
এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানা লিখুন

এবার আপনি পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫ঃ নমিনির তথ্য প্রদান করতে হবে

এবার আপনি যে নমিনি সিলেক্ট করবেন সেই নমিনের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন,

নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক কি সেটা লিখতে হবে
এরপর নমিনির নাম লিখতে হবে
নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র লিখতে হবে
নামিনীর মোবাইল নম্বর লিখতে হবে
নমিনির পিতার নাম
এবং নমিনির মাতার নাম লিখতে হবে

সঠিকভাবে নমিনীর সকল তথ্যগুলো প্রদান করার পরে আপনাকে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৬ঃ আপনাকে জরুরি যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে

জরুরী ভিত্তিতে যাতে আপনার সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারা যায় এই জন্য তথ্য প্রদান করুন

সম্পর্ক সিলেক্ট করতে হবে
আপনার নাম লিখতে হবে
এবং আপনার মোবাইল নম্বর লিখতে হবে

এরপর আপনি পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন

ধাপ ৭ঃ আপনার ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ প্রদান করতে হবে

এবার আপনাকে আপনার ভাষাগত দক্ষতা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন কোন ভাষায় পারদর্শী বা বেশি অভিজ্ঞ সেটা সিলেক্ট করতে হবে।

আপনার ভাষাগত যোগ্যতা
আপনার মৌখিক দক্ষতা এবং
আপনার লিখিত দক্ষতা

এছাড়াও আপনার যদি আরো বিভিন্ন প্রকার ভাষার দক্ষতা তাকে তাহলে "আরো যোগ করুন" অপশনে ক্লিক করে আপনাকে ভাষা সিলেক্ট করতে হবে এবং সিলেক্ট করার পর " পরবর্তী" অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৮ঃ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে

আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিতে হবে যেমন,

আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সিলেক্ট করতে হবে
আপনি কোন সালে পাশ করেছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে
আপনার প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল সিলেক্ট করতে হবে
আপনি কোন বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে
আপনার বিষয় সিলেক্ট করতে হবে এবং
আপনার গ্রেট বা ডিভিশন সিলেক্ট করতে হবে

শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিকভাবে সিলেক্ট করে" জমা দিন" এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনি যদি এভাবে আরও শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য প্রদান করতে চান তাহলে "আরও যোগ করুন" অপশনে ক্লিক করে আপনাকে তথ্য প্রদান করতে হবে। এবার আপনাকে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৯ঃ এরপর তথ্য যাচাই করতে হবে

আপনার প্রদান করা তথ্যগুলো বিএমইটি ডাটাবেজ সংরক্ষণ করে থাকেন। আপনি পেমেন্ট করার আগে আপনার প্রদান করা সকল তথ্যগুলো পুনরায় যাচাই বাছাই করে দেখুন। যাচাই করে দেখার জন্য আপনাকে " রিভিউ" অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর সকল তথ্য সঠিক থাকলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ১০ঃ আপনার পাসপোর্টটি ভেরিফিকেশন করুন

আপনাকে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে এর জন্য উপরে প্রদান করা পাসপোর্ট এর তথ্য ভেরিফাই করার জন্য পাঠাতে হবে। সাধারণত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হতে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর আপনি" ঠিক আছে" এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস পেন্ডিং হয়েছে । ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে তারপর পেমেন্ট করতে হবে।

ধাপ ১১ঃ বিএমইটি  রেজিস্ট্রেশন পেমেন্ট ফি প্রদান করুন

৭২ ঘণ্টা পর আপনি পুনরায় প্রবাসী অ্যাপ এ প্রবেশ করবেন। এরপর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন আবেদন অপশনে ক্লিক করবেন। এখানে যদি আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস ভেরিফাইড দেখায় তাহলে " পেমেন্ট করুন" অপশনে ক্লিক করবেন।

আপনার পেমেন্ট ফি মাত্র ৩০০ টাকা। অনলাইনে দুইটি মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন একটি নগদ এবং অন্যটি বিকাশ। আপনি যেকোনো একটি পেমেন্ট গেটে সিলেক্ট করে আপনার পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন।

বিকাশ থেকে পেমেন্ট করার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলোঃ 

আপনি যদি বিকাশ অপশনে ক্লিক করেন তাহলে " বিকাশ পেমেন্ট" অপশন চলে আসবে

অটোমেটিক ভাবে আপনার টাকার পরিমান ৩০০ লেখা থাকবে।

আপনি যে বিকাশ নম্বর থেকে পেমেন্ট করতে ইচ্ছুক উক্ত নম্বর লিখে"CONFIRM" ক্লিক করতে হবে

তারপর উক্ত বিকাশ নম্বরে একটি কোড নাম্বার আসবে, সেই কোড নম্বর বক্সে লিখে"CONFIRM" করতে হবে

এবার বিকাশ পিন নম্বর লিখে"CONFIRM" অপশনে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনার প্রেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাবে

আপনাকে অভিনন্দন, আপনি কি সফলভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন। যদি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে আমি প্রবাসী অ্যাপ এ প্রবেশ করলে উপরের দিকে" বিএমইটি কার্ড নামক অপশন চলে আসবে। তারপরে আপনি এখান থেকে বিএমইটি কার্ড চেক করে দেখতে পারবেন এবং খুব সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন। 

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফি কত টাকা ২০২৫

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফি সাধারণ কর্মীদের জন্য ২০০ টাকা এবং" আমি প্রবাসী" অ্যাপ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করলে আপনাকে অতিরিক্ত ১০০ টাকা দিতে হবে। যদি আপনি বিদেশ যেতে চান, তাহলে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিছু ফ্রি প্রদান করতে হবে। এই ফি মূলত কর্মীদের জন্য ২০০ টাকা এবং যদি আপনি আমি প্রবাসী আপনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেন তবে অতিরিক্ত আরো ১০০ টাকা প্রয়োজন হবে।

সুতরাং বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফি সাধারণত ২০০ টাকা আর আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে করলে অতিরিক্ত ১০০ টাকা।আর আপনি যদি " আমি প্রবাসী" অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করেন তবে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ আরো ১০০ টাকা দিতে হবে।

বিএমইটি কার্ড চেক করার উপায় ২০২৫

বিএমইটি কার্ড বাই স্মার্ট কার্ড হল জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য প্রদত্ত একটি ছাড়পত্র। এটি বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যদি বিএমইটি কার্ড চেক করতে চান তাহলে এই ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ

প্রথমে আপনার ফোন কিংবা কম্পিউটারে একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার(যেমন গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি খুলুন।

 এরপর ব্রাউজারের এড্রেস বারে amiprobashi.com লিখে সার্চ করতে হবে। এটি" আমি প্রবাসী" এই ওয়েবসাইটে ঠিকানা।

এবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর, ওপরের দিকে তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করতে হবে।

এরপর মেনু থেকে"Clearance Card" অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

এখানে আপনার পাসপোর্ট এর নম্বর এবং ক্যাপচা কোড প্রবেশ করিয়া আপনার বিএমইটি কাটি ডাউনলোড করতে হবে।

আপনি যদি কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা যেমন।, আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডাটা রিসিভ হয়েছে কি না, ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড প্রিমিড ও রেডি হয়েছে কিনা এগুলো চেক করতে পারবেন।

আর আপনার যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমি প্রবাসী অ্যাপের অথবা বিএমইটি ওয়েব সাইটে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য নিতে পারবেন।

বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার কোথায় বাংলাদেশ ২০২৫

বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার বাংলাদেশের কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে অর্থাৎ ১১০ টিবিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার আছে। আপনার জেলায় ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে কিনা সেটা জানতে ক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুড়ো ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিজিট করে দেখুন।

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে ২০২৫



অনেকে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম বা বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সাধারণত কি কি ডকুমেন্ট লাগে সেগুলো আলোচনা করা হলোঃ

পাসপোর্টঃ আপনার বৈধ পাসপোর্ট এবং এর ফটোকপি। 
ভিসাঃ চাকরির ভিসার ফটোকপি
প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেটঃ বিদেশে প্রথমবার গেলে তিন দিনের ট্রেনিং সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে।
টাকা বা পে অর্ডারঃ ২০০ টাকার পে-অর্ডার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে।
ছবিঃ আপনার সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
অন্যান্য কাগজপত্রঃ কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে যা বিএমইটি কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে প্রদান করতে হবে।

এছাড়াও আরো বিস্তারিত জানতে, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি ) এর ওয়েবসাইটে কিংবা হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিএমইটি  FAQ

বিএমইটি পূর্ণরূপ কি

বিএমইটি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে জনশক্তি বুড়ো কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ।

বিএমইটি কার্ড কি

বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো প্রতিষ্ঠান বিদেশে দক্ষ কর্মী রপ্তানিতে কারিগরি বিষয়ের উপর ট্রেনিং দিয়ে এই কার্ডটি প্রদান করে থাকেন।

বিএমইটি কার্ডের মেয়াদ কত বছর

বিএমইটি কার্ডের মেয়াদ সাধারণত দুই বছর হয়ে থাকে। এই কার্ডের মাধ্যমে একবার বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স হয়ে গেলে তা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

বিএমইটি কাজ কি

বিএমইটি প্রধান কাজ হল কর্মীদের বিদেশ গমনের প্রক্রিয়া সহজ করা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং দক্ষতা উন্নয়নে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

আমার প্রাণ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমি আশা করি, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই জানতে পেরেছেন যে,বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম অর্থাৎ কিভাবে খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন করা যায়, রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা ফি লাগে , রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে , রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেক করার উপায় ,বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার কোথায় বাংলাদেশ ইত্যাদি সম্পর্কে।

তাই আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না  আর্টিকেলের মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন সংশোধন করার চেষ্টা করব এবং নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url