কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫
কুয়েত কোম্পানি প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত দেশটিতে পাড়ি জমায়। কিন্তু অনেকেই জানে না কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত। কুয়েতের ভিসা বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
কোম্পানি ভিসাতে আপনি যদি কুয়েত যেতে চান তবে আপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের
সুযোগ রয়েছে। যেমনঃ ড্রাইভিং, কন্সট্রাকশন, রেস্টুরেন্ট , ইলেকট্রনিক,
ক্লিনার ইত্যাদি। তাই আপনারা যারা কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, তারা
অবশ্যই কুয়েত কোম্পানির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানির
ভিসা কত টাকা সে সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫
- কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত
- কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
- কুয়েত কোন কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি
- কুয়েতের কোন কোম্পানিগুলো সবচেয়ে ভালো
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা শ্রমিকদের বেতন
- কুয়েতে কাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫
বাংলাদেশী কোম্পানির মত কুয়েতের কোম্পানির ভিসার বেতন নির্ধারিত করা থাকে না।
মানুষের কাজের ধরন, কাজের অভিজ্ঞতা , কোম্পানির বৈশিষ্ট্য , শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং
কুয়েতের অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে সাধারণত তাদের বেতন নির্ধারণ করা হয়।
তবে কুয়েত কোম্পানি ভিসায় মাসিক বেতন দিয়ে থাকেন। তারা বছরে এক থেকে দুইবার
বোনাস প্রদান করেন। আর আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানির ভিসা
বেতন কত টাকা হবে তা চাকরির অফার লেটারে উল্লেখ করা থাকবে।
স্বাভাবিকভাবে কুয়েতের কোম্পানি ভিসার ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ৩৫
হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। ঠিক এভাবে কুয়েতের কিছু কিছু কোম্পানি ভিসা বেতন
নির্ধারণ করা হয় এক লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা
হলোঃ
কুয়েতে শ্রমিক হেলপারের বেতন সাধারণত ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা
পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কোম্পানি বিষয়ে ডেলিভারি বইয়ের বেতন সাধারণত ৪০ হাজার টাকা থেকে৬০ হাজার টাকা
পর্যন্ত হয়ে থাকে।
একজন ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা হয়ে
থাকে।
একজন এসি মেকানিকের বেতন ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কোম্পানি ভিসায় একজন ওয়েল্ডারের বেতন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে
কোম্পানি ভিসায় একজন প্লামারের বেতন ৪৫ থেকে৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে
পারে।
তবে কোম্পানির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তির অভিজ্ঞতার, শিক্ষা এবং দক্ষতার
উপর ভিত্তি করে এর কিছু কম বেশিও হতে পারে।
আরো পডুনঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত
বাংলাদেশি অনেক মানুষ রয়েছে যারা গুগলে সার্চ করে থাকেন কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং
সর্বোচ্চ বেতন কত। চলুন তাহলে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কুয়েতের
সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন সম্পর্কে।
কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন
কুয়েতে বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন প্রতি মাসে ৭৫ কুয়েতি
দিনার যা প্রায় ২৪৮ মার্কিন ডলারের সমতুল্য হয়। অন্যদিকে, যারা গৃহ কর্মের
কাজ করে তাদের সর্বনিম্ন বেতন প্রতি মাসে ৬০ কুয়েতি দিনার যা পায় ১৮৯ মার্কিন
ডলার।
বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্যঃ কুয়েতের শ্রম আইন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি,
২০২৫ থেকে বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য সর্বনিম্ন মজুরি ৭৫কুয়েতি দিনার
নির্ধারণ করা হয়েছে।
গৃহকর্মীদের জন্যঃ একই সময়ে গৃহকর্মীদের জন্য সর্বনিম্ন বা ন্যূনতম বেতন
নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কুয়েতি দিনার।
বেতন বহির্ভূত আয়ঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের কুয়েতে আনতে হলে,
কর্মীর বেতন ন্যূনতম ৮০০ দিনার হতে হতে হবে, এবং এই বেতন হতে হবে
শুধুমাত্র বেতন থেকে অন্য কোন আই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
কুয়েতের সর্বোচ্চ বেতন
কুয়েতের সর্বোচ্চ বেতনের পরিমাণ কত সেটা সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা খুবই কঠিন,
কারণ এটি পেশা, অভিজ্ঞতা , কোম্পানির ধরন এবং অন্যান্য কারণ এর উপর
নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তবে তেল গ্যাস শিল্প, প্রকৌশল এবং ব্যবস্থাপনা সহ কিছু
নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উচ্চ বেতনপেয়ে থাকে বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
কুয়েতের কিছু ডেটা সাইন্টিস বছরে ৯৪,৬৮০ থেকে১৪২,০২০ টাকা আয় করতে পারেন।
কুয়েতের তেল ও গ্যাস শিল্পের কর্মীরা, যেমন প্রকৌশল্ ভূতাত্ত্বিক এবং প্রকল্প
ব্যবস্থাপকেরা অনেক ভালো মানের বেতন পেয়ে থাকেন।
এছাড়াও কুয়েতের কিছু ডেভলপট ইঞ্জিনিয়ার বছরে ৯১,০৮০ থেকে ১৩৬,৬২০ টাকা
ইনকাম করতে পারেন।
আবার কিছু এআই ইঞ্জিনিয়ার ঘন্টায় ৩৫.৫৯ থেকে ৪৮.১৬ টাকা আয় করতে পারেন
তাছাড়াও কিছু উৎস থেকে জানা যায় যে, একজন মানুষের কুয়েতে মাসিক বেতন
১০০০ কুয়েতি দিনার থেকে ৩,০০০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হতে পারে যা একজন মানুষের
জীবনযাত্রার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ।
কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত
কুয়েতের ভিসার দাম নির্ভর করে সাধারণত ভিসার ক্যাটাগরির ওপর। কারণ সকল ভিসার দাম
বিভিন্ন কারণে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যাত্রার সময়, ভিসার ক্যাটাগরি , এবং
কোন কাজের জন্য ভিসা তৈরি করছেন তার ওপর নির্ভর করে।
যেমন ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি
ভিসায় আপনি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান। তবে কুয়েতের ন্যূনতম বা সর্বনিম্ন
ভিসার দাম ৫লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আজকের এই পোস্টে
কোন ভিসা করতে কত টাকা প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা।
কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম সাধারণত ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
হতে পারে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম সাধারণত ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে
পারে।
কুয়েত টুরিস্ট ভিসার দাম সাধারণত ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে
পারে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে এই ভিসার টাকাগুলো কম-বেশি হতে পারে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানার পর এবার আমরা জানবো কুয়েত কোম্পানি কোন
কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। উন্নত মানের জীবনযাত্রা এবং ক্যারিয়ার গঠনের
জন্য বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হচ্ছে কুয়েত। কুয়েতে যাওয়ার জন্য মানুষ অধীর
আগ্রহে অপেক্ষা করে। কিন্তু বেশিরভাগই মানুষ জানে না যে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা
সবচেয়ে বেশি। কুয়েত কোম্পানি ভিসায় কাজের চাহিদা বিষয়টি জানা থাকলে আপনি
ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসায় সাধারণত যে সকল কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেগুলো হলো।
যেমনঃ ড্রাইভিং ভিসা, মেকানিক্যাল ভিসা , ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা , রেস্টুরেন্ট ভিসা
, টেকনিশিয়ান ভিসা , ক্লিনার ভিসা , কন্সট্রাকশন ভিসা এবং অফিস
বয় ইত্যাদি। তাই আপনি কুয়েত যাওয়ার আগেই ঠিক করে নেবেন আপনি কোন
কাজের জন্য কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যেতে চাচ্ছেন। সে বিষয়ে দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতা অর্জন করে কুয়েতে যাবেন তাহলে আপনি অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এটা জানার সাথে সাথে আপনাকে জানতে হবে কুয়েত
কোম্পানি ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে। তাহলে আপনি খুব সহজে বৈধভাবে সরকারি
এবং বেসরকারি এ দুই উপায়ে কুয়েত যেতে পারবেন। আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েত
দেশটিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে সরকারি ওয়েবসাইট বোয়েসেল অনেক সহযোগিতা করবে।
বোয়েসেল এমন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেটি বিদেশী কর্মী পাঠাতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
আপনি যদি বেসরকারি ভাবে কুয়েতে যেতে চান তাহলে বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় দেশটিতে যেতে পারবেন। এটার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সমস্ত
কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, এরপর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য এজেন্সির
সহযোগিতা নিতে হবে। এজেন্সিকে মোটা অংকের টাকা প্রদানের মাধ্যমে কাজটা আপনি খুব
সহজে করিয়ে নিতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে
পারবেন। কাজের অফার লেটার পাওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইট
ভিজিট করুন সেখান থেকে কুয়েত জবের জন্য এপ্লাই করুন। পরবর্তীতে আপনি যখন ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা এবং কাজের অফার লেটার পেয়ে যাবেন তখন আপনি কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে
ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ কোন
এম্বাসিতে গিয়ে আবেদন ফরম নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে আবেদন ফরমটি
পূরণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি Kuwat. mofa.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
খুব সহজে এবং অল্প সময়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনি
আবেদন ফরমটি প্রিন্ট আউট করে নিজের কাছে রেখে দিবেন।
এরপরে আপনার নিকটস্থ কুয়েতের এম্বাসিতে গিয়ে আপনি পূরণকৃত আবেদন ফরম সহ
আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট আবেদনের সাথে জমা দিবেন। এই আবেদনটি
আপনি দুটি মাধ্যমে করতে পারবেন একটি হচ্ছে সরকারি এবং অন্যটি হচ্ছে বেসরকারি।
সরকারিভাবে আবেদন করা একটু ঝামেলার হলেও টাকার পরিমাণ অনেক কম লাগে। আর আপনি
যদি বেসরকারি ভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে চান
তাহলে টাকার পরিমাণ একটু বেশি লাগবে। তাই আমার মতে সরকারি ভাবে যাওয়া অনেক
নিরাপদ এবং সুবিধাজনক।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
যে সকল প্রবাসী ভাইয়েরা কুয়েতে যেতে চান তাদের কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন
কত জানা যেমন জরুরী তেমনি কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে সেটা
জানাও অনেক জরুরী। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো কুয়েত
কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
আপনার একটি বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য পাসপোর্ট।
আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
মেডিকেল সনদপত্র প্রয়োজন হবে।
আপনার কাজের অনুমতি পত্র অবশ্যই থাকতে হবে।
আপনার কাজের চুক্তিপত্র প্রয়োজন হবে।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট।
আপনার কাজের প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের বা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে।
আপনার কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র ইত্যাদি।
কুয়েত কোন কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি
কুয়েতে ২০২৫ সালে বিভিন্ন পেশার চাহিদা ও বেতন কাঠামোতে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন
এসেছে। সাধারণভাবে দেখা যায় যে কাজগুলো বেশি বেতন দেয় সে কাজগুলোর মধ্যে এ
ধরনের পরিবর্তন অনেক বেশি দেখা গেছে। নিম্নে কুয়েত কোন কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি
তা আলোচনা করা হলোঃ
ইলেকট্রিশিয়ান এবং প্লামারঃ কুয়েতে এই দুই পেশায় অভিজ্ঞ লোকদের
বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি প্রতি মাসে এরা প্রায় ২০০ থেকে ৪০০ কুয়েতি দিনার
পেয়ে থাকেন।
মেশিন অপারেটর এবং হেভি ড্রাইভারঃ কুয়েতে এই কাজগুলোর বেতন অনেকটা
অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরশীল তবে গড়ে তারা ২৫০ থেকে ৫০০ কুয়েতি দিনার পেয়ে
থাকেন।
আইটি এবং টেকনিক্যাল সেক্টরঃ কুয়েতে এই সেক্টরে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা
থাকলে বেতন অনেক বেশি পরিমাণ হয় যা প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ দিনার পর্যন্ত
হয়ে থাকে।
কুয়েতের কোন কোম্পানিগুলো সবচেয়ে ভালো
আপনি যদি কোম্পানির ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে চান তাহলে কুয়েতে ভালো কোম্পানি
বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি কেবল বেতনের ওপর নয়, কাজের পরিবেশ ,
খাওয়া দাওয়া, ছুটি এবং অন্যান্য সুবিধার উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু সুনামধন্য কোম্পানির নাম উল্লেখ করা
হলো যেগুলো ২০২৫ সালে জনপ্রিয় থাকবে বলে আশা করা যায়ঃ
Kharafi National: এটি কুয়েতের নির্মাণ ও মেইনটেনেন্স সেক্টরের অন্যতম বড় একটি
প্রতিষ্ঠান।
NBTC Group: এই কোম্পানি কুয়েতের নির্মাণ, মেকানিক্যাল এবং কেমিক্যাল প্রজেক্ট
এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
Zain Telecom: যারা টেলিকম সেক্টরের কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই কোম্পানি একটি
অন্যতম কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত।
কুয়েতে এই কোম্পানি গুলোর পাশাপাশি আরো কিছু মধ্যম মানের কোম্পানিও আছে যারা
ভালো বেতন এবং পরিবেশ নিশ্চিত করে থাকেন। তাই কুয়েত কোন কোম্পানি ভাল তা
নির্ভর করবে আপনার পেশা, আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী। তাই আপনি
যে কোম্পানিতেই কাজ করুন না কেন আপনাকে একজন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মী হতে হবে।
যারা কুয়েতে কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানি নিয়মিত
ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। এবং শ্রমিকদের জন্য বেতন নিম্নলিখিতভাবে
নির্ধারিত করা হয়;
শ্রমিকদের বেসিক মাসিক বেতন প্রায় ৭০,০০০ থেকে৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শ্রমিকদের ওভারটাইম সুবিধাঃ কুয়েত শ্রমিকদের একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে অভারটাইম
কাজের সুযোগ। আর এই সুযোগ থাকার জন্য তারা মাসে আয় করে ৯০,০০০ থেকে ১,২০,০০০
টাকা। অনেক ক্ষেত্রে ওভারটাইম কাজের সুযোগ থাকায় এর চেয়েও অনেক বেশি আয় করতে
পারে শ্রমিক ভাইয়েরা।
এছাড়াও প্রায়ই কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের জন্য সুন্দর বাসস্থান, পরিবহন এবং
অন্যান্য মৌলিক সুবিধার ব্যবস্থা করে থাকে যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের খরচ অনেক
কমিয়ে দেয়।
কুয়েতে কাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক
কুয়েতে কাজের জন্য যাওয়ার আগে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা
থাকা দরকার। এই বিষয়গুলো কুয়েতে কর্মজীবনে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে । তাই আজকে
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সেই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আলোচনা করা হলোঃ
ভাষাগত দক্ষতাঃ কুয়েতের অধিকাংশ মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে তবে ইংরেজি
আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় এই ভাষাটিও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। কর্ম
ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তবে আরবি ভাষা শেখা থাকার মাধ্যমে
আপনি স্থানীয়দের সাথে আরো ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন।
পরিবেশ এবং আবহাওয়াঃ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো গরম আবহাওয়ারদিক
থেকে কুয়েত অন্যতম। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে কুয়েতে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে, যা
শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তাই আপনাকে গরম পরিবেশে কাজ করার জন্য আগে
থেকেই মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
শ্রম আইন এবং অধিকারঃ কুয়েতের শ্রম আইন অনেক শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের
অধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বিতর্কের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা
কুয়েতি আইন অনুযায়ী অনেক সহায়তা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও বৈধভাবে কাজ করলে চাকরির
সুরক্ষা এবং কুয়েত সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন।
সঞ্চয় এবং ব্যাংকিং সুবিধাঃ আপনি কুয়েতে কাজ করে অনেক টাকা সঞ্চয় করতে
পারবেন কারণ কুয়েতে সঞ্চয়ের সুবিধা অনেক বেশি। বৈদেশিক ব্যাংকিং সুবিধা এবং
আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকিং সেবা কুয়েতে খুব সহজে পাওয়া যায়। তাই
বাংলাদেশী প্রবাসীরা কুয়েত থেকে খুব সহজে উপার্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে পারেন
যা তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানে সক্ষম।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এই পোস্টে তুলে ধরা
হয়েছে। সেই সাথে তুলে ধরা হয়েছে সেখানকার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত,
কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত, কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায় , কুয়েত কোম্পানি
ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে , কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ইত্যাদি সহ
যাবতীয় তথ্য।
আমি আশা করি আপনাদের এই পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে। আর এই পোস্টটি পড়ে আপনার
যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর আজকের এই
পোস্টে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে কমেন্ট করবেন সংশোধন করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url