কম্বোডিয়া বেতন কত এবং কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
কম্বোডিয়া কোন কাজের বেতন কত, কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে , কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই পোস্টের মাধ্যমে কম্বোডিয়ার যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো
কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান একটি উন্নয়নশীল এবং সুন্দরতম দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেকে কাজের ভিসা নিয়ে উন্নয়নশীল দেশ কম্বোডিয়া যেতে আগ্রহী। তাই কম খরচে বিদেশে যাওয়ার জন্য কম্বোডিয়া একটি সেরা দেশ হতে পারে আপনার জন্য। কম্বোডিয়ার অর্থনীতি দিন দিন পরিবর্তন হওয়ায় সেখানে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হচ্ছে তাই আপনি কাজের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া যেতে পারেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃকম্বোডিয়া কাজের বেতন কত জানতে পড়ুন
- কম্বোডিয়া দেশটির উদ্দেশ্যে কিছু কথা
- কম্বোডিয়া যাওয়ার সহজ উপায় বা ভিসা প্রসেসিং
- কম্বোডিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
- কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- কম্বোডিয়া কোন কাজের বেতন কত
- কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন
- কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
- কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
- কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
- কম্বোডিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু FAQs প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কে জানুন
- কম্বোডিয়ার টাকার মান কত
- কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
- বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে
- বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত
- ড্রাইভিং ভিসায় কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
কম্বোডিয়া দেশটির উদ্দেশ্যে কিছু কথা
কম্বোডিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি সুন্দরতম দেশ। এটি থাইল্যান্ড,লাওস এবং
ভিয়েতনামের সীমান্তে অবস্থিত। কম্বোডিয়ার উত্তরে থাইল্যান্ড ও লাওস
, পূর্ব ও দক্ষিণে ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে থাইল্যান্ড উপসাগর অবস্থিত।
দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের নাম নমপেন। কম্বোডিয়া একটি সাংবিধানিক
রাজতন্ত্র এবং এখানে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ অনেক বেশি।
ভৌগলিক দিক থেকে কম্বোডিয়া একটি ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলের দেশ। দেশটির
বেশিরভাগ অংশই সমতল এবং টোনলে সাপ হৃদ ও মেকং বদ্বীপ এখানকার প্রধান
বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও কম্বোডিয়া প্রাচীন খেমার সাম্রাজ্যের আসন ছিল, যার স্থাপত্য
শৈলী আঙ্কোর হোয়াট এর মত বিখ্যাত স্থানগুলোতে আজও দৃশ্যমান হয়ে আছে।
কম্বোডিয়া বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল এবং পর্যটন ঘেরা দেশ। বস্ত্র শিল্প ও
কৃষিকাজ এখানকার অর্থনীতির প্রধান মানদণ্ড এবং
চালিকাশক্তি। কম্বোডিয়ার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এবং এখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব
বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। কম্বোডিয়ার মানুষেরা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং তাদের
সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নৃত্য এবং সংগীতের অধিক প্রচলন রয়েছে।
কম্বোডিয়া যাওয়ার সহজ উপায় বা ভিসা প্রসেসিং
বর্তমানে অনেক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়ায় যেতে চাই। তাই তারা গুগলে
সার্চ দিয়ে থাকেন কম্বোডিয়া যাওয়ার সহজ উপায় বা ভি সফটওয়্যার সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নেওয়া
যাক কম্বোডিয়া যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে।
আপনি কম্বোডি অফিস সরাসরি কিংবা অনলাইনে প্রসেসিং করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে
অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা অনেক সহজ মাধ্যম। এছাড়াও আপনি সরাসরি ভিসা
আবেদন করতে এম্বেসিতে যেতে পারেন।
সর্বপ্রথম ভিসার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে কম্বোডিয়া
ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে
কম্বোডিয়া ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট ভিজিট করে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন ফরম
পূরণ করতে হবে। আবেদন করার সময় ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আবেদন ফি ও
কাগজপত্র আপনাকে জমা দিতে হবে। এছাড়াও কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে
সরাসরি কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং করতে পারবে।
কম্বোডিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া যান। আপনি যদি
কম্বোডিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যান তাহলে কোন কাজের জন্য যাচ্ছেন যেমন ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা নাকি টুরিস্ট ভিসা সেই ক্যাটাগরি আগে আপনাকে নির্বাচন
করতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরির অনুযায়ী কম্বোডিয়া যাওয়ার কাগজপত্র আলাদা আলাদা
হয়ে থাকে। কম্বোডিয়া যেতে সাধারণত যেসব কাগজপত্র লাগে সেগুলো আলোচনা করা
হলোঃ
আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস হতে হবে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন বা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
আপনার মেডিকেল রিপোর্টের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আপনার ইমেইলের প্রয়োজন হবে
আপনার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
কাজের দক্ষতার এক্সপেরিয়েন্সের সার্টিফিকেট
আপনার ভাষা গত দক্ষতার সার্টিফিকেট
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
কম্বোডিয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি উন্নয়নশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল দেশ তাই
এদেশে উদীয়মান অর্থনৈতিক কারণে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের
অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই কর্মসংস্থানের জন্য আপনারা উন্নয়নশীল
দেশ কম্বোডিয়াতে যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে। তাই চলুন আজকের এই আটকেলের মাধ্যমে খুব সহজে জেনে
নেওয়া যাক কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
কম্বোডিয়া যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি ও ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে
থাকে। বর্তমানে আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে চান
তাহলে প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর আপনি যদি
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা
পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যেতে প্রায় এক লক্ষ টাকা
থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি বেসরকারি কোন এজেন্স বা
দালালের মাধ্যমে কম্বোডিয়া যেতে চান তাহলে খরচের পরিমাণ আরো বেড়ে যেতে পারে।
তাই আপনি যদি পারেন সরকারিভাবে কম্বোডিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কম্বোডিয়া কোন কাজের বেতন কত
কম্বোডিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনারা জানেন না কোন কাজের
বেতন কত। যে সকল বাংলাদেশীরা কাজের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়াতে যেতে চায় তাদের
অবশ্যই কাজের বেতন সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। কম্বোডিয়াতে কাজের
বেতন নির্ভর করে সাধারণত একজন শ্রমিকের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার
ওপরে। তাছাড়াও কম্বোডিয়াতে কাজের বেতন পরিবর্তন হতে পারে নির্দিষ্ট শহর
কোম্পানি ও পদের ওপর এবং সে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে। তাহলে চলুন
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে কম্বোডিয়া কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নেওয়া যাক।
- কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য সাধারণত একজন শ্রমিক ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
- কৃষি কাজের জন্য একজন শ্রমিক সাধারণত ৩৫,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
- একজন ফুড প্যাকেজিং শ্রমিক সাধারণত ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা বেতন পেতে পারেন।
- হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট বয় সাধারণত ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
- কম্বোডিয়ায় একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
- কম্বোডিয়ায় একজন অভিজ্ঞ কম্পিউটার অপারেটর সাধারণত ১,০০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন।
- কম্বোডিয়ায় একজন অন অভিজ্ঞ কম্পিউটার অপারেটর সাধারণত ৫০,০০০ থেকে১,০০,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
তবে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি বা কোম্পানির উপর ভিত্তি করে অথবা আপনার দক্ষতা
অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে এর কিছু কম বেশিও হতে পারে।
কম্বোডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তবে কিছু কিছু কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি।
তাই কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এর সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সেই বিষয়ে
অভিজ্ঞতা অর্জন করে কম্বোডিয়া যেতে পারবেন। তাহলে চলুন এ বিষয়ে জেনে
নেওয়া যাক।
কম্বোডিয়াতে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য
কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ দেশটিতে যে সকল কাজের চাহিদা
সবচেয়ে বেশি সেগুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং সেই কাজগুলোর উপর দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি অনেক বেশি বেতন পাবেন। যেহেতু অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশটি অনেক
উন্নত তাই এদেশে অনেক শিল্পকারখানা রয়েছে। যার কারণে চাকরির ক্ষেত্রে
প্রচুর সুবিধা পাওয়া যায়।
এছাড়াও এখানে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তি, পর্যটক কেন্দ্র নির্মাণ এবং
কৃষি কাজের অনেক সুযোগ থাকায় কম্বোডিয়াতে এই সকল শ্রমিকদের চাহিদা অনেক
বেশি। এছাড়াও নির্মাণ কাজের ওপর শ্রমিকদের এবং, ইলেকট্রিশিয়ান প্লামার মেশিন
অপারেটর এই সকল কাজের প্রতি আপনারা যদি অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তাহলে কম্বোডিয়াতে
অনেক বেতন পাবেন। তাহলে চলুন আরও কিছু কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য যেতে পারেন কম্বোডিয়াতে এদের অনেক চাহিদা।
- কৃষি কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে
- ফুট প্যাকেজিং এই কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে
- পরিছন্নতা কর্মীদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে
- হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট বয়ের অনেক চাহিদা রয়েছে
- এছাড়াও কম্বোডিয়ায় অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ানের অনেক চাহিদা রয়েছে
- কম্বোডিয়ায় একজন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের অনেক চাহিদা রয়েছে।
কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ সাধারণত চার লক্ষ থেকে 6 লক্ষ টাকা
পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি কোন আত্মীয়র মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
জন্য আবেদন করেন তাহলে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনার নিম্নলিখিত
বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত।
কম্বোডিয়ার ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারণত এক বছরের জন্য সাধারণত
বৈধ থাকে, তবে এটি একাধিক বছর পর্যন্ত আপনি বাড়াতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আবেদনকারীকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে
হবে তার কাছে যে পাসপোর্ট আছে সে পাসপোর্ট যেন বৈধ হয়।
যদি কোন বিদেশি কর্মচারী ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়।
তাহলে তাকে অবশ্যই জরিপনা দিতে হবে।
এছাড়াও কম্বোডিয়া ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনাকে প্রতিদিন ১০ ডলার জরিমানা
দিতে হবে।
কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান একটি উন্নয়নশীল এবং সুন্দরতম দেশ। যেখানে
প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশী পর্যটক তাদের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে কম্বোডিয়ায়
ভ্রমণ করতে যায়। কম্বোডিয়ার টাকার মান বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু
অর্থনৈতিকভাবে কম্বোডিয়া বাংলাদেশের চেয়ে অনেক
এগিয়ে আছে। কম্বোডিয়াই অনেক সুন্দর সুন্দর টুরিস্ট স্পট এবং ভ্রমণ
করার স্থান রয়েছে।
তাই আপনিও যদি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিআই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার
টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করতে খরচ পড়বে পাঁচ হাজার থেকে ৮ হাজার
টাকা। এছাড়াও কম্বোডিয়ার টুরিস্ট ভিসা করতে চাইলে আপনার সব ধরনের খরসহ
প্রায় ২ লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া যেতে চান।
কম্বোডিয়া দেশটি যেতে অবশ্যই আপনাদের ভিসার প্রয়োজন হবে। আপনি কোন ভিসার ওপর
নির্ভরকরে কম্বোডিয়া যেতে চাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে আপনার বয়সের সীমাবদ্ধতা
নির্ধারিত হয়। তাহলে চলুন কোন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে কম্বোডিয়াতে যেতে আপনার
কত বয়স লাগবে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসাতে কম্বোডিয়া যেতে চান তাহলে আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার
চেয়ে বেশি হতে হবে।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কম্বোডিয়া যেতে চান তাহলে আপনার বয়স ২১ বছর এবং
তার অধিক হতে হবে।
কোন মানুষ যদি ব্যবসায়িক কাজে কম্বোডিয়া যেতে চাই তাহলে তার বয়স ১৮ বছর বা তার
বেশি হতে হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট আছেন যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডা
যেতে চান তাদের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
রিটায়ারমেন্ট ভিসা নিয়ে কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে চাই তাহলে তার
বয়স ৫৫ বছর বা তার অধিক হতে হবে।
তবে ১৮ বছরের কম বয়সে কোন শিশু যদি তার অভিভাবকের সাথে ভ্রমণের জন্য কম্বোডিয়া
যেতে চান তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কম্বোডিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু FAQs প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কে জানুন
কম্বোডিয়ার টাকার মান কত
বর্তমান সময়ে কম্বোডিয়ার এক টাকা বাংলাদেশের প্রায় ০.০৩০ টাকার সমান।
কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে কম্বোডিয়া ভিসার দাম সর্বনিম্ন প্রায় 2 লক্ষ
টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বিমানের বিরতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে সর্বনিম্ন
প্রায় ছয় ঘন্টা থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব প্রায় ২,৮৯০ কিলোমিটার।
ড্রাইভিং ভিসায় কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
ড্রাইভিং ভিসায় কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে চাই তাহলে সর্বনিম্ন ৫
লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, কম্বোডিয়া কাজের
বেতন কত, কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে , কম্বোডিয়া যাওয়ার সহজ উপায় এবং
ভিসা প্রসেসিং , ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে ,
কম্বোডিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় , কম্বোডিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম
কত ইত্যাদি সম্পর্কে তাই আমি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি
পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।
তাই আমার মতে আপনার যদি কাজের প্রতি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কম্বোডিয়ার
দেশটিতে যেতে পারেন। কেননা সেখানে অনেক ভালো বেতনের কাজের সুযোগ সুবিধা আছে। তবে
কম্বোডিয়া যাওয়ার আগে কম্বোডিয়া কাজের ভিসার দাম কত সেটা অবশ্যই জেনে নেবেন
তাহলে আপনারা ভিসা প্রসেসিং এর সময় প্রতারিত হবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url