মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
আপনি কি টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে যাচ্ছেন? কিন্তু মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত, কিভাবে আবেদন করবেন এবং ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে বুঝতে পারছেন না? তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য নিচে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে অনেক
মানুষ মালয়েশিয়া যেতে চান। সেক্ষেত্রে অনেকেই জানেন না মালয়েশিয়া টুরিস্ট
ভিসা কত টাকা। তাই আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খোলা নাকি বন্ধ
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত হয়
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা চেক
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট স্পট
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে
- মালয়েশিয়ার জন্য সাশ্রয়ী ভ্রমণ প্যাকেজ সম্পর্কে জানুন
- মালয়েশিয়া ভ্রমণের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে জানুন
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
সিঙ্গেল এন্ট্রি বা মাল্টিপল এন্টির ওপর ভিত্তি করে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার
দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যারা সিঙ্গেল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে
মালয়েশিয়া যায় তাদের ভিসার দাম সাধারণত কম হয়ে থাকে। তবে বলা যায়
স্বাভাবিকভাবে ৫০০০০ টাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকায় টুরিস্ট প্যাকেজ পাওয়া
গেলেও মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম সর্বোচ্চ তিন লক্ষ থেকে প্রায় চার লক্ষ
টাকা হয়ে থাকে।
তবে ভিসার মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে কোন ভিসা উন্নতর হয় আবার কোন ভিসা একটু
নিম্নমানের হয়ে থাকে। তাই ভিসার ধরন এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম কম
বেশি হতে পারে। তবে সর্বনিম্ন টুরিস্ট ভিসা ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকায়
পাওয়া যায়। এবং সর্বোচ্চ তিন লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা এ বিষয়ে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেল শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আমি আশা করি মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা কত টাকা সে
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। মালয়েশিয়া বর্তমানে অর্থনৈতিক দিক থেকে
একটি উন্নত দেশ।
মালয়েশিয়া এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি
উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ। যার ফলে এ দেশটি নানা কর্মসংস্থানের সাথে ভ্রমণের
জন্য একটি উপযোগী স্থান হয়ে উঠেছে। টুরিস্টের জন্য মালয়েশিয়া একটি জনপ্রিয়
স্থান এখানে মানুষ সরকারি এবং বেসরকারিভাবে টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। মালয়েশিয়া সর্বনিম্ন
টুরিস্ট ভিসা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং সর্বোচ্চ তিন
লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যে সকল মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চায় তারা অনেকে জানে না
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে। আপনার সকল শর্ত ঠিক থাকলে
যে কোন ভিসা খুব সহজে তৈরি করা যায়। তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী কাগজপত্র গুলো আলাদা
আলাদা হতে পারে। এক্ষেত্রে আমি আজকের এই পোস্টে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে।
- আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস হতে হবে
- ভিসা আবেদন ফরম প্রয়োজন হবে
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট কপি
- আপনার রিটার্ন বিমান টিকিট
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত
- আপনার হোটেল বুকিং কপি
- রেফারেন্স লেটার কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে সেটা অবশ্যই প্রযোজ্য
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভ্রমণ পিপাসু। তাই কম খরচে ভ্রমণের জন্য
মালয়েশিয়ার একটি অন্যতম এবং জনপ্রিয় দেশ। আপনারা যদি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা
নিয়ে যেতে চান তাহলে অনেক কম খরচে ভালো জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া অসংখ্য মানুষ টুরিস্ট ভিসাতে যেতে চান
কিন্তু তারা কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। তাই আমি আজকের এই
পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো খুব সহজে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদনের
নিয়ম।মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই নির্ধারিত ওয়েবসাইটে
গিয়ে টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। দেখবেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
রকম টুরিস্ট ভিসার প্যাকেজ পাওয়া যায়। যে প্যাকেজগুলো অনেক কম খরচের
হয়ে থাকে।
এছাড়াও আপনি চাইলে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে ই সেবার অ্যাপস বা বিভিন্ন
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনারা
টুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য এই লিংকে
https://www.imi gov my/প্রবেশ করতে
পারেন।
সর্বপ্রথম আপনাকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সঠিক বা নির্ভুল তথ্য দিয়ে পূরণ
করতে হবে
আপনার আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে এজেন্সির মাধ্যমে তা জমা দিতে
হবে
আপনি ইচ্ছা করলে মালয়েশিয়া ই ভিসা কিংবা বিএমইটির কার্যালয় থেকে খুব সহজে
আবেদন করতে পারেন।
টুরিস্ট ভিসার আবেদনের জন্য সর্বনিম্ন ফ্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা থেকে
সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খোলা নাকি বন্ধ
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে যারা ভ্রমণের জন্য যেতে চাচ্ছেন তাদের অনেকেই জানতে
চান মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খোলা নাকি বন্ধ। আমাদের ভ্রমণের সুবিধার্থে
বর্তমানে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে এবং আপনি
চাইলেই খুব সহজে আবেদন করতে পারেন বা আপনি চাইলে সহজে এই সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে মাঝেমধ্যে কিছু কিছু বিধি নিষেধ
প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এজন্য আপনি সঠিক তথ্য জানতে এবং সর্বশেষ আপডেট জানার জন্য
যারা অভিজ্ঞ ট্রাভেল এজেন্সি তাদের সাথে কথা বলুন। তাহলে আরো নিশ্চিত এবং সঠিক
তথ্য জানতে পারবেন।
তবে বর্তমানে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা বন্ধ নেই। ভারতীয় পাসপোর্ট ধারীরা
বর্তমানে ভিসা ছাড়া ৩০ দিন পর্যন্ত মালয়েশিয়া ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে
মালয়েশিয়ায় ৩০ দিনের বেশি থাকার জন্য আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে। এর জন্য
আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে according to air india।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত হয়
মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য দেখার জন্য অনেক বাংলাদেশী সেখানে ভ্রমণ
করতে জান। তাই অনেক বাংলাদেশী জানতে চান মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিশন
সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মেয়াদ কত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া
যাক মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মেয়াদ।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার সর্বোচ্চ মেয়র সাধারণত ৩০ দিন এবং আপনি
হয়তো জানেন না একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি বা একবার প্রবেশের জন্য বৈধ। তবে কিছু
ক্ষেত্রে মাল্টিপল এন্ট্রি সহ 90 দিন পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যামিলি টুরিস্ট ভিসা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য। প্রাথমিক অনুমোদন এয়ারপোর্ট থেকে প্রথমে একমাস অনুমোদন পাবেন বর্ধিত
বয়স সীমা এক মাস শেষে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে আরও এক মাসের অনুমোদন নিতে পারবেন
একদম ফ্রিতে। এবং সর্বোচ্চ থাকার মেয়াদ মোট তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিন। তাই বলা যায়
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩০ দিন এবং সর্বোচ্চ মেয়াদ ৯০
দিন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা চেক
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা স্ট্যাটাস চেক করার জন্য আপনাকে মালয়েশিয়ার
ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ভিসা আবেদনের
স্থিতিস্থাক করার অপশন পাওয়া যাবে। সেখানে আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা
রেফারেন্স নম্বর দিয়ে আপনি ভিসার অবস্থা জানতে পারবেন।
এছাড়াও ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখুনঃ
ওয়েবসাইটের হোম পেজে, এর জন্য বিভাগটি সনাক্ত করুন ভিসা স্ট্যাটাস চেক করা।
এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং অ্যাপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বর লিখতে অনুরোধ
করা হবে। ভিসা স্ট্যাটাস চেক করুন এরপরে ক্লিক করুনঃ এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রবেশ করে ভিসা স্ট্যাটাস চেক করুন। এরপর বোতাম বা অনুরোধ বিকল্পটি ক্লিক করুন।
এভাবেই আপনি খুব সহজে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা চেক করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট স্পট
মালয়েশিয়া সৌন্দর্য এবং বৈচিত্রের দিক থেকে একটি অন্যতম দেশ। যেখানে পর্যটকদের
জন্য রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা এবং আকর্ষণীয় স্থান। তাহলে চলুন খুব সহজে জেনে
নেওয়া যাকমালয়েশিয়ার আকর্ষণীয় টুরিস্ট স্পটগুলো সম্পর্কে।
কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার
লাংকাউই দ্বীপপুঞ্জের মনোরম পরিবেশ
গেটিং হাইল্যান্ডের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পেনাং হিলের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ
এছাড়াও মালাঙ্কা শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ
এই স্থানগুলো বিশেষ করে মালয়েশিয়াকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয়
পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে। তাই বিশ্বের সকল দেশের কাছে মালয়েশিয়া পর্যটক দেশ
হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
মালয়েশিয়া টুরিস্টদের জন্য একটি অন্যতম দেশ হওয়ায় অনেকে টুরিস্ট ভিসায়
মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহী। তাই যারা মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য দেখতে আগ্রহী তারা
অনেকেই জানতে চায় মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে। তাই আমি আজকের এই পোষ্টের
মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো বাংলাদেশ থেকে মালেশিয়া যেতে কত সময় লাগে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি অন্যতম সৌন্দর্যে ভরপুর একটি দেশ হচ্ছে
মালয়েশিয়া এই দেশটি ১৩ টি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গড়ে
উঠেছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার আয়তন ৩,২৯,৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার এবং মালয়েশিয়ার
অন্যতম রাজধানীর নাম হল কুয়ালালামপুর।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া বিমানে যাওয়ার জন্য দুটি প্রধান উপায় রয়েছে একটি
হচ্ছে ননস্টপ ফ্লাইট এবং অন্যটি ওয়ান স্টপ ফ্লাইট। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে
বিমানের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ননস্টপ ফ্লাইটে যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগবে তিন
ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিট থেকে প্রায় চার ঘন্টা পর্যন্ত এবং আপনি যদি বাংলাদেশ
থেকে মালয়েশিয়া ওয়ান স্টপ ফ্লাইট এর মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগবে
১০ ঘন্টা থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত।
মালয়েশিয়ার জন্য সাশ্রয়ী ভ্রমণ প্যাকেজ সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশ থেকে অনেক পর্যটক মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রদর্শন করতে সেখানে
যায়। বাংলাদেশ থেকে যারা ভ্রমণের জন্য মালয়েশিয়ায় যান তাদের
জন্য মাঝেমধ্যে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সাশ্রয় ভ্রমণ প্যাকেজ পাওয়া
যায়।
তাই বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সাশ্রয়ী ভ্রমণ প্যাকেজের মাধ্যমে মালয়েশিয়া
ভ্রমণ করছেন খুব সহজে। কিছু নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য
বিশেষ প্যাকেজ অফার করে থাকেন যার সাধারণত ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার
মধ্যে পাওয়া যায় খুব সহজে। এ ধরনের প্যাকেজে সাধারণত ভিসা, বিমান ভাড়া,
হোটেল বুকিং এবং কৃষি ক্ষেত্রে স্থানীয় যাতায়াতের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত হয়ে
থাকে। এটি বাংলাদেশ পর্যটকদের জন্য বেশ স্বাস্থ্য এবং সুবিধাজনক।
মালয়েশিয়া ভ্রমণের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ঘুরতে মালয়েশিয়াতে যায়। মালয়েশিয়া ভ্রমণে
যাওয়ার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে আপনার ভ্রমণ খুব সহজ
এবং নিরাপদ হয়।
সঠিক কাগজপত্র নিজের সাথে রাখুনঃ আপনার প্রয়োজনীয কাগজপত্র যেমন আপনার
পাসপোর্ট, ভিসা বিমান টিকেট এবং হোটেল বুকিং এর কাগজপত্র সবসময় নিজের সাথে
রাখুন।
খানের সাথে মানিয়ে চলুনঃ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন নিয়ম থাকে। সেরকম ভাবে
মালোশিয়ান বিভিন্ন স্থানের কিছু ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে চলা
প্রয়োজন। এবং তাদের ধর্মীয় এবং সামাজিক আচার-আচরণ সম্পর্কে অবগত থাকুন।
ভ্রমণ বীমা করুনঃ দুর্ভাগ্যবশত ভ্রমণ করতে গিয়ে মানুষ অনেক সমস্যার
সম্মুখীন হয় তাই যে কোন দুর্ঘটনা বা স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ভ্রমণ বীমা করা
উচিত। এটি আপনার নিজের এবং আপনার পরিবারের জন্য একটি সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা।
টাকার হিসাব রাখুনঃ স্থানীয় মুদ্রায় কিছু অর্থ নিজের কাছে রাখুন এবং
খরচের হিসাব মেনে চলুন। এতে আপনি ভ্রমণের খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
অপরিচিতদের সাথে সাবধানে চলাফেরা করুনঃ ভ্রমণের সময় অপরিচিত মানুষের
সাথে সাবধানে চলাফেরা করবেন। কারণ প্রতিটি দেশেই ভালো এবং খারাপ মানুষ থাকে তাই
সাবধানতা অনেক সময় নিজের জীবনকে রক্ষা করতে পারে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আপনারা যদি মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে চান তাহলে টুরিস্ট ভিসার জন্য আগে থেকে
প্রস্তুতি নেওয়া জরুরী। এজন্য আবেদন ফ্রি, বিমান ভাড়া হোটেল বুকিং সহ যাবতীয়
খরচ এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরী। আপনার সঠিক
পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভ্রমণ সহজ এবং মনমুগ্ধকর হয়ে
উঠবে।
আমি আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা কত টাকা, মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
এবং মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। আর যদি এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে
কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url