সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৫

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনেক মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনারা হয়তো অনেকেই সরকারিভাবে কানাডায় যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কোন ধারনা নেই। তাই আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে খুব সহজে জানাবো সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।



কানাডা দেশটি সকল প্রবাসী, শিক্ষার্থী ভ্রমণকারী এবং চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় এবং অন্যতম গন্তব্যস্থল। কারণ দেশটিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি এবং জীবন যাত্রার মান উন্নত। তাই আপনিও কি কম খরচে কানাডা যেতে চান। তাহলে মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৫

কানাডাতে সরকারি এবং বেসরকারি দুটি মাধ্যমে যাওয়া যায়। আপনি যদি বেসরকারিভাবে কানাডা যেতে চান তাহলে খরচের পরিমাণ অনেক বেশি হবে এবং সরকারি ভাবে কানাডা গেলে খরচের পরিমাণ অনেক কম হবে। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডা যেতে চান তাহলে খরচের পরিমাণ অনেক কম হলেও চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে কানাডাতে যেতে হলে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। তবে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী যোগ্যতাগুলো আলাদা আলাদা হতে পারে। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে নিম্ন সেগুলো আলোচনা করা হলোঃ

আপনি যদি সরকারি ভাবে কানাডা যেতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন আইইএলটিএস স্কোর ৬ লাগবে।

এছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির অফার লেটার লাগবে।।

সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনাকে সকল সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনে কোথাও ভুল হলে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে না। তাই খুব ভালো করে ফরম পূরণ করতে হবে। অতঃপর আপনার কানাডা যাওয়ার আবেদন ফরম সঠিক থাকলে তারা যাচাই-বাছাই করে তারপরে আপনাকে ভিসা প্রদান করবে।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার খরচ কত ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাই। তাই সরকারিভাবে কানাডা যেতে কত খরচ হবে এ বিষয়ে জানতে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকে। তাই আমি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো সরকারি ভাবে কানাডা যেতে কত খরচ হয়।

কোন এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা যাওয়ার তুলনায় সরকারিভাবে কানাডা যেতে অনেক কম খরচ হয়। সরকারিভাবে কানাডা যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে সরকারি ভাবে কানাডা যেতে বর্তমানে ২০২৫ সালে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ নয় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

অনেক সময় সরকারিভাবে কম খরচে কানাডা ভিসা তৈরি করা সম্ভব হয়। বর্তমানে সরকারের ভাবে কানাডা ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাই আমার মতে আপনারা কোন এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা না গিয়ে সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে অনেক কম খরচে আপনারা কানাডা যেতে পারবেন। আমি আশা করি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার খরচ কত।

কানাডা যেতে কত বয়স লাগে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চাই। কিন্তু কানাডা যাওয়ার আগে তাদের জানা দরকার কানাডা যেতে কত বছর বয়স লাগে। অনেক মানুষ আছেন যারা বয়সের জন্য কানাডা যেতে পারে না। যাদের বয়স ৪০ বছর তারাও কানাডা যেতে পারবে কিন্তু ৪০ বছর বয়স হলে কানাডা যাওয়ার জন্য তাদের অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। আবার কানাডা যাওয়ার জন্য এদের অনেক সুবিধা জনক বিষয় রয়েছে যেমন তাদের পড়াশোনা শেষ তাদের কাজের অভিজ্ঞতা বেশি এবং তাদের বিভিন্ন চাকরির অভিজ্ঞতাও থাকে। তাই প্রতিটি  যদি নিজস্ব যোগ্যতা থাকে তাহলে ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবে।

তাছাড়াও যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চাই তাদের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। একজন স্টুডেন্ট ১৮ বছর বয়স হলে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবে। আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়ে যায় তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বয়স সীমা মাথায় রেখে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

কানাডার ভিসা ক্যাটাগরি ২০২৫

কানাডায় অভিবাসন প্রক্রিয়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত হয়ে থাকে যার মধ্যে অস্থায়ী ভিসা এবং স্থায়ী ভিসা দুটি প্রধান ক্যাটাগরি। নিম্নে দুই ধরনের ক্যাটাগরির সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ


অস্থায়ী ভিসাঃ 

অস্থায়ী ভিসার মেয়াদ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভ্রমণ ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।


টুরিস্ট ভিসাঃ যে সকল মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পর্যটন, পরিবার কিংবা বন্ধুদের সাথে দেখা বা ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে যায় সেগুলো টুরিস্ট ভিসার অন্তর্ভুক্ত।

স্টুডেন্ট ভিসাঃ যারা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চাই। বা বিভিন্ন স্টুডেন্ট রয়েছে যারা স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ যে সকল মানুষ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বা নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য কানাডায় যায়। যাদের ভিসার মেয়াদ থাকে হয়তো সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দশ বছর এগুলো অস্থায়ী ভিসার অন্তর্ভুক্ত।

ট্রানজিট ভিসাঃ যারা কানাডার মধ্য দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য যাত্রা করেন তাদেরকে সাধারণত ট্রানজিট বলা হয়।

স্থায়ী ভিসাঃ

স্থায়ী ভিসা হল সেই ভিসা যা অর্জনের মাধ্যমে আপনি স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস স্থাপন করতে পারবেন। এই ভিসার ক্যাটাগরির মধ্যে বেশ কিছু ভাগ রয়েছে যেমনঃ এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম, ফ্যামিলির স্কলারশিপ , প্রদেশিক নমিনেশন প্রোগ্রা্‌ম এবং বিজনেস ও উদ্যোক্তা প্রোগ্রাম।

এক্সপ্রেস এন্টি প্রোগ্রামঃ এই প্রোগ্রামটি সাধারণত কানাডার অভিবাসন বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং এতে স্কিল্ড বা অভিজ্ঞ শ্রমিকদের জন্য একটি দ্রুত অভিবাসন প্রক্রিয়া রয়েছে।

ফ্যামিলি স্কলার্শিপঃ ফ্যামিলি স্কলার্শিপ এর মাধ্যমে কানাডাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। আপনার পরিবারের কোন সদস্য যদি কানাডাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে তাহলেই আপনি এই স্কলারশিপটি পেতে পারেন।

প্রদেশিক নমিনেশন প্রোগ্রামঃ এই প্রোগ্রামে সাধারণত প্রতিটি প্রদেশ তার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী অভিবাসীদের নির্ধারিত করে থাকেন।

বিজনেস ও উদ্যোক্তা প্রোগ্রামঃ যে সকল মানুষ কানাডায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের জন্য এ বিষয়টি প্রযোজ্য রয়েছে।

কানাডা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে এবং প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য আলাদা আলাদা শর্তাবলী পালন করতে হয়। আপনি যদি আপনার ভিসা আবেদন সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে চান তাহলে আপনাকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে। তাছাড়াও যথাযথ প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি আপনার কানাডা অভিবাসনের সুযোগ খুব সহজে অর্জন করতে পারবেন।

কানাডা যাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে কানাডা যেতে চাই আর কানাডা যাওয়ার জন্য আধুনিক সময়ের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম পদ্ধতি হচ্ছে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি কানাডার ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপ বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন। নিচে কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করার ধাপগুলো আলোচনা করা হলোঃ

ভিসার ধরনের নির্বাচনঃ রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনি যে ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান সেই ভিসা ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তাই আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।

আবেদন ফরম পূরণঃ কানাডা যাওয়ার ভিসার ধরন নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনি ফরম পূরণ করার জন্য প্রস্তুত হবেন আপনাকে ফরমটি অনলাইনে পূরণ করতে হবে, সেখানে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত , শিক্ষাগত এবং পেশাগত সকল তথ্য দিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে আপনার আর্থিক সক্ষমতা বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হতে পারে।

আবেদন ফ্রি প্রদানঃ কানাডা যাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন ফ্রি পরিশোধ করতে হবে। কানাডা ভিসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তাই এর ফ্রি ভিন্ন ধরনের।

আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষাঃ আপনি আবেদন ফরম  জমা দেওয়ার পরে তারা যাচাই-বাছাই করবেন। আর এ যাচাই-বাছাই করার জন্য কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় নিতে পারে তার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।

ভিসার সিদ্ধান্তঃ আপনার আবেদন প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। তারপর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ একটি সিদ্ধান্ত নিবেন। যদি আপনার আবেদন সঠিক হয় এবং তারা গ্রহণ করে তবে আপনার ভিসা ইস্যু করা হবে এবং আপনার পাসপোর্টে সিল দিয়ে অতি তাড়াতাড়ি আপনার হাতে দেওয়া । কানাডা যাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়াকা অনলাইনে খুব তাড়াতাড়ি করা যায়।

 কানাডা ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট



কানাডা যাওয়ার জন্য আপনি যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করুন না কেন আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। তাই একা কাগজগুলো সঠিকভাবে জমা না দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে। নিম্নে কানাডায় যাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করঃ

বৈধ পাসপোর্টঃ কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আপনার পাসপোর্ট বৈধ হওয়ার প্রয়োজন। আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ আবেদন করার সময় কম করে ছয় মাসের জন্য বৈধ হতে হবে। কারণ এটি কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় পরিচয় পত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ আপনার কানাডা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এর মধ্যে একটি হচ্ছে পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এই পাসপোর্ট সাইজের ছবি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদঃ কানাডা প্রবেশ করান পূর্বে আপনাকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ প্রদান করতে হবে কারণ এতে করে প্রমাণিত হবে যে আপনি কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না।

মেডিকেল সার্টিফিকেটঃ কানাডা যাওয়ার পূর্বে আপনাকে আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। কারণ আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিতে চান। তাহলে আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

একাডেমিক সার্টিফিকেটঃ একাডেমিক সার্টিফিকেট একজন স্টুডেন্ট এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি কোন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত নম্বর নিয়ে পাস করেছেন সেগুলো সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

জব অফার লেটারঃ আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার জন্য জব অফার লেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার আগে কোন কাজে দক্ষতা বেশি ছিল এবং আপনি কোন কাজে পারদর্শী এগুলো আপনার জব অফার লেটার থেকে জানা যাবে।

ভাষার দক্ষতার প্রমাণঃ আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার ভাষার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ইংরেজি এবং সরাসরি ভালো দক্ষতা রাখেন তাহলে কানাডাতে অতি তাড়াতাড়ি কাজ পেয়ে যাবেন।।

আর্থিক সহায়তার ডকুমেন্টঃ আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনার কাছে যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা আছে ।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

প্রতিবছর প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডায় যান। তাই আপনি যদি কানাডা যাওয়ার জন্য কোন নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান বা কোন নিয়োগকর্তার সাহায্য নেন তাহলে আপনার ভিসা অতি তাড়াতাড়ি প্রসেসিং হবে। তাছাড়াও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আপনার কিছু দক্ষতা থাকা প্রয়োজন সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

আপনার সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ হতে হবে। এবং আপনার রেজাল্ট ৪.০০ হলে খুব ভালো হয়।

ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়াও আই ই এল টি এস করা থাকলে আরো সুবিধা হবে।

আপনি যে কাজের জন্য কানাডায় যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আপনার ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট লাগবে।

আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার ৭ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

কানাডা কৃষি ভিসা

কানাডায় কৃষক শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা খুব সীমিত হওয়ায় কৃষি কাজের জন্য তারা প্রতিবছর লোক নিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি কৃষি কাজের অভিজ্ঞতা ভালো থাকে তাহলে আপনি স্বপ্নের দেশ কানাডায় যেতে পারেন। সেখানে কৃষিকাজ করে অনেক বেশি উপার্জন করা যায়।

কানাডায় কৃষি ভিসা নিয়ে যেতে কানাডা ভিসা আবেদন ফরম ২০২৫ অনুযায়ী আবেদন করে উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। আপনি যদি কৃষি ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে কৃষি ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ অনেকটা কম হবে।

সরকারিভাবে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা

কানাডা একটি উন্নত দেশ হওয়ায় সেখানে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার জন্য পাড়ি জমাই। কানাডায় উন্নত শিক্ষার পাশাপাশি কাজের অনেক সুবিধা থাকাই নিম্ন আয়ের ও মধ্য আয়ের দেশগুলো থেকে অনেকে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যায়।

আপনি যদি সরকারিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এইচএসসি পাশ এবং আপনার পয়েন্ট এ প্লাস হলে ভালো হয়। তাছাড়াও আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি অনেক বেশি থাকে তাহলে কানাডায় গিয়ে আপনি উন্নত চাকরি করতে পারবেন এবং নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা



কানাডা এমন একটি উন্নত দেশ যেখানে যেতে হলে আপনার কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। এই যোগ্যতা বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য আলাদা আলাদা হতে পারে যেমন অস্থায়ী ভিসা, টুরিস্ট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা ।। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এছাড়াও স্থায়ী ভিসা। তাই নিম্নে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার কিছু যোগ্যতা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ

পাসপোর্ট এর বৈধতাঃ কানাডা যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট এর বৈধতা কারণ কানাডা যেতে হলে আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে।

ভাষার দক্ষতাঃ কানাডা যাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভাষার দক্ষতা। আপনি যদি স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার জন্য আবেদন করেন তাহলে ভাষাগত দক্ষতা  সাধারণত আই এল টি এস এবং সিইএলপিআইপি পরীক্ষার মাধ্যমে এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আর্থিক সহায়তাঃ আপনি যদি কানাডায় ভ্রমণ বা বসবাসের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার আর্থিক সহায়তা থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার প্রয়োজনীয় খরচ আপনি বহন করতে পারবেন।

অপরাধমূলক রেকর্ডঃ আপনি যদি কানাডায় যেতে চান তাহলে আপনার অন্যতম শর্ত হলো আপনার কোন অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না। কারণ আপনার যদি কোন অপরাধমূলক রেকর্ড থাকে তাহলে আপনি কানাডায় যেতে পারবেন না।

ভিসা প্রক্রিয়াঃ কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়াটা কিছুটা কঠিন হতে পারে। তবে আপনি যদি সমস্ত যোগ্যতা পূরণ করেন এবং সঠিক ডকুমেন্ট জমা দেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রক্রিয়াটি সহজ হয়ে যাবে। এবং আপনি খুব সহজে যে কোন ক্যাটাগরির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

কানাডা কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

কানাডা বিদেশি কর্মীদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এবং উন্নত দেশ। এই দেশে বিদেশী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই কানাডা কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেটা সর্বপ্রথম জানতে হবে।

বর্তমানে কানাডায় কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ফুড ডেলিভারি সার্ভিস , ওয়েটার বয় , ক্লিনার বয়, রাইড শেয়ারিং , কৃষি কাজের শ্রমিক , হোটেলের কর্মী এবং প্যাকেজিং কর্মী ইত্যাদি কাজের চাহিদা কানাডায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

কানাডায় বসবাস এবং নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া

আপনি যদি পার্মানেন্ট ভাবে কানাডায় বসবাস করতে চান তাহলে আপনার নাগরিকত্বের প্রয়োজন হবে। আপনি যদি একবার কানাডার নাগরিকত্ব পেয়ে যান তাহলে কানাডার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আপনি ভোগ করতে পারবেন। তাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সহজে আপনাদেরকে কানাডায় বসবাস এবং নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাবো।

আপনি কানাডায় যাওয়ার পরে কিছুদিন স্থায়ীভাবে বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সাধারণত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়ঃ

আপনাকে কানাডায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করতে হবে।

কানাডিয়ান ট্যাক্স সিস্টেমের আওতায় আপনাকে আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

আপনার কানাডিয়ান ইতিহাস এবং সরকার সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে।

কানাডিয়ান নাগরিকত্ব প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ, তবে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর আপনি কানাডার সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন এবং আপনি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী হতে পারবেন।

কানাডা যাওয়ার এজেন্সির নাম

বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া পরিচালনা করে থাকেন। তবে আপনাকে অবশ্যই এগুলো এজেন্সি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তাই প্রত্যেকের শুধুমাত্র পরিচিত এবং বিশ্বাসযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা উচিত। চলুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সহজে পরিচিত কিছু কানাডা ভিসা এজেন্সির নাম উল্লেখ করা যাকঃ

কানাডা ভিসা প্রসেসিং সেন্টার, স্টাডি ইন কানাডা এডমিশন সেন্টার , লেগাটো ইমিগ্রেশন এন্ড ভিসা , পিপল কানাডা, গ্লোবাল কানাডা কনসার্টেন্ট , কানাডা অভিবাসন সেন্টার , ওয়ার্ল্ড স্টাডি লিংক , ওয়েস্টফোড ইমিগ্রেশন সার্ভিস ইত্যাদি।

লেখকের শেষ কথা

আমি আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে, সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়, কানাডা যেতে কত টাকা লাগে, কানাডা কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি , কানাডা যাওয়ার এজেন্সির নাম এবং কানাডা বসবাস এবং নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া সম্পর্কে। আপনি যদি খুব সহজে কানাডা যেতে চান,

তবে অবশ্যই সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদিও সরকারি ভাবে কানাডা যেতে টাকার পরিমাণ কম লাগে কিন্তু চাপ অনেক বেশি থাকে, আর আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে কানাডা যেতে চান তাহলে টাকার পরিমাণ অনেক বেশি লাগবে। তবে কানাডা যাওয়ার পূর্বে কানাডায় কোন কাজের চাহিদা গুলো সবচেয়ে বেশি থাকে সেই কাজগুলোর উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে কানাডায় যাবেন।তাহলে খুব সহজে কানাডায় গিয়ে কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url