শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার উপায়

সকলেই তো ধনী হতে চায়, তবে এ বাসনা সবার জীবনে পূরণ হয় না। এখন পর্যন্ত যারা নিজস্ব কর্ম পন্থায় বড়লোক হয়েছেন, তাদের জীবন অনুশীলন করলে বোঝা যায় ধনী হওয়ার জন্য প্রয়োজন নিজস্ব মেধা এবং নিজস্ব পদ্ধতি।




শর্টকাটে কিভাবে বড়লোক হওয়া যায় এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে অনেকেই google এ সার্চ করে থাকে। আসলে মধ্যবিত্ত বা সাধারণ জীবন যাপন থেকে প্রত্যেক মানুষই চায় শর্টকাটে বড়লোক হতে। হে আমার প্রিয় পাঠক আপনার সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি কিভাবে শর্টকাটে বড়লোক হওয়া যাই। তাই শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার উপায়

শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার উপায়

ছোট হোক কিংবা বড় সকলেরই বড়লোক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। শুধু ইচ্ছা থাকলে হবে না তার সাথে প্রয়োজন একটি উত্তম পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। এই জন্য শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার উপায় খুজতে হলে আপনাদের সর্বপ্রথম একটি উত্তম পরিকল্পনা করতে হবে।

আমরা আসলে কোন মাধ্যমে বড়লোক হতে চাই সেটা ব্যবসা নাকি চাকরি নাকি আরো অন্য কোন মাধ্যম। এই বিষয়গুলো আগে নিজের মধ্যে গুছিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। আপনারা যেহেতু শর্টকাটে বড়লোক হতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাদের সর্বপ্রথম ব্যবসা দিয়ে শুরু করা উচিত। কারণ ব্যবসার মাধ্যমে লাভের টাকার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে বিনিয়োগ করে আপনি খুব সহজে শর্টকাটে বড়লোক হতে পারবেন।

শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার কোন উপায় যদি আপনি মনে মনে নির্ধারণ করেন। এরপরে দিনের ২৪ ঘন্টাকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে। এরপর পরিকল্পনা করে চব্বিশ ঘণ্টাকে আপনাকে কাজে লাগাতে হবে। আপনি চাইলে প্রথমে ছোট কোন ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে পারেন আবার আপনি চাইলে ভালো পড়াশোনা করে চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে একটি ভালো চাকরি করতে পারেন। তবে আমার মতে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হচ্ছে ব্যবসা। আমি এই পোস্টে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করছি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন করা

প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজের শিক্ষার স্তর এবং দক্ষতার উন্নতি করা। কারণ শিক্ষার স্তর এবং দক্ষতার উন্নতি না করলে কখনোই একজন মানুষ উচ্চ আয়ের সুযোগ পাবে না। বর্তমান যুগে, যারা বিশেষ কোন দক্ষতাই পারদর্শী তারা খুব সহজেই বড় চাকরি বা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তাই শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার জন্য সকল মানুষের উচিত নতুন কিছু শেখা বিশেষ করে প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং কোডিং বা অন্য কোন সৃজনশীল দক্ষতার ওপর পারদর্শিতা অর্জন করা। যাতে খুব সহজেই আপনি সৃজনশীল দক্ষতার মাধ্যমে আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারেন।

ধৈর্যশীল এবং অবিচল হওয়া

মানুষ হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুন মাখলুকাত। আর এ মানুষের রয়েছে একটি অন্যতম গুণ সেটি হচ্ছে ধৈর্য। আপনার আশেপাশে খেয়াল করে দেখবেন যে সকল ব্যক্তিরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা সবাই ছিল তাদের লক্ষ্যে অবিচল।

জীবনে যারা ধৈর্য ধারণ করতে পারে তারাই সামনের পথে এগিয়ে যায়। ধৈর্য ধারণকারীকে আল্লাহ তায়ালাও পছন্দ করেন। তাই আপনারা যদি কোন কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তাহলে ধৈর্য হারা হবেন না। ধৈর্য ধরে সেই কাজটি বারবার করার চেষ্টা করবেন এবং নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকবেন। এভাবে আপনার যদি ধৈর্য সহকারে কোন একটি কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনারা সফলতা লাভ করবেন। তাই আমার মতে কোন কাজ করার সময় যদি ব্যর্থ হন তাহলে কখনোই ধৈর্য হারা হবেন না

অল্প বয়সেই বিনিয়োগকারী হয়ে ওঠা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা

ছোট থেকে বড় এবং বৃদ্ধ থেকে যুবক সকলের চাই বড়লোক হতে তাই সম্পদ বাড়ানো বা বড়লোক হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়স থাকে না। তাই আপনি যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে বিনিয়োগকারী হিসেবে গড়ে তুলুন। প্রয়োজনে ছোট কিছু দিয়ে এবি নিয়োগের হাতে খড়ি করে ফেলুন।

এরপর আস্তে আস্তে আপনি বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতে শুরু করুন। তবে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করা। কারণ আপনি যদি ধারায় বাহিকভাবে কাজ না করেন তাহলে আপনার কাজের আগ্রহ কমে যাবে তাই সকল মানুষের উচিত যে কোন কাজ করার সময় সেই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। কারণ একজন মানুষ ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই নিজেকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।

নিজস্ব আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করা

শুধুমাত্র একটি চাকরি কিংবা একটি নির্দিষ্ট ব্যবসার ওপর নির্ভর করে থাকলে আপনার ধনী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করা খুবই কঠিন। তাই আপনাকে আপনার নিজস্ব আয়ের একাধিক উচ্চ তৈরি করতে হবে। আপনার আশেপাশের সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয় করা যায় কিনা সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন, এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা যায় অন্যান্য সম্পদ যেমন জমি ফ্ল্যাট ঘর ইত্যাদি ভাড়া দিয়েও আয়ের উৎস তৈরি করা যায়। এছাড়াও আপনি একজন সফল উদ্যোক্ত হতে পারেন পশু পালন করতে পারেন কৃষি কাজ করতে পারেন। তাই আমার মতে শুধুমাত্র একটি কাজের ওপর নির্ভর না করে আপনি একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার যদি একটি উচ্চ থেকে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায় তবুও অন্য উৎস থেকে টাকা আসবে। তাই কখনোই একটি উচ্ছের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়।

খরচ কমাতে বাজেট তৈরি

শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে খরচ কমিয়ে বাজেট তৈরি করা। অনেক সময় কোন কারণ ছাড়া আমরা অনেক টাকা খরচ করে ফেলি। মাস শেষে হিসাব করলে দেখা যায় এই খরচের পরিমাণটা অনেক বেশি হয়। তাই আমরা যদি হিসাব করে বাজেট তৈরি করে তারপরে খরচ করি তাহলে মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অংকের টাকা খরচ করে বাকি টাকা আমরা জমাতে পারব।

এরপরে এই জমানো টাকা দিয়ে আমরা ছোটখাটো একটা ব্যবসা শুরু করতে পারি বা কোথাও ইনভেস্ট করতে পারে যাতে করে সেই সঞ্চিত থাকা থেকে আমরা আরও বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারি। তাই সবার উচিত খরচ কমাতে একটি বাজেট তৈরি করা।

নিজের ওপর বিনিয়োগ করা



সকল মানুষের উচিত দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়াতে নিজের উপর বিনিয়োগ করা। অতিরিক্ত আয় করার জন্য আমাদের মেধাও জ্ঞানের প্রয়োজন হয় আর এই মেধা ও জ্ঞানকে বাড়াতে পড়াশোনা, ট্রেনিং অথবা যেকোনো ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।

এছাড়াও আপনি চাইলে অতিরিক্ত মাস্টার্স করতে পারেন এছাড়াও বিভিন্ন কার্যালয় অংশ নেওয়া এবং নতুন কোন কিছু শিখতে কোর্সে ভর্তি হওয়া এগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের গুনাগুন বৃদ্ধি করতে পারবেন। এতে আপনার ভবিষ্যতে আয় বাড়ানোর পথ আরো প্রশস্ত হবে।

নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা

পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পদ বাড়াতে বাধনী হয়ে উঠতে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জুড়ি মেলা ভার। স্থানীয় বাজারের চাহিদাগুলো খুজে বের করুন এবং তা সমাধানের পথ খুঁজতে থাকুন। পরবর্তীতে এ বিষয়ের উপর একটা ব্যবসা দাঁড় করান এভাবে আপনি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি ব্যবসা ভালো না বুঝেন তাহলে আপনার কোন সফল বা লাভবান প্রতিষ্ঠান কিভাবে ব্যবসা থেকে টাকা আয় করে সেটা মনোযোগ সহকারে দেখবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবেন।

এছাড়া আপনি নেটওয়ার্ক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনার নেটওয়ার্ক যদি ভালো থাকে তাহলে নতুন নতুন পার্টনারশিপ এবং ভালো ও লাভবান হওয়ার পরামর্শ পাওয়া খুব সহজ হয়। এছাড়াও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সফল এবং ধনী ব্যক্তিদের যতটা কাছাকাছি থাকা যায় তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া যায় আপনি তত দ্রুত আর্থকভাবে লাভবান হতে পারবেন।

তবে আমি বলতে চাই এক রাতের স্বপ্নের মত কেউ ধনী হতে পারেনা। যে কেউ এ পরামর্শ গুলো গ্রহণ করে নিজ চেষ্টার মাধ্যমে ধৈর্যের পরিচয় দিলে তার সফলতা অনিবার্য। তাই আপনি যদি একটু সুশৃংখল জীবন এবং পরিমিত ব্যয়ের আর্থিক অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার জীবন হবে অনেক সুন্দর এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে উঠতে পারবেন বড়লোক।

পরিষ্কার লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা তৈরি করা

শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারণ করা। আপনি কিভাবে শর্টকাটে বড়লোক হবেন এবং আপনি কেমন জীবন যাপন করতে চান এগুলো চিন্তা করে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলুন। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করুন। জীবনে নানা বাধা বিপত্তি আসবেই কিন্তু আপনি যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে আপনার কাছে সফলতা ধরা দিতে বাধ্য। মনে রাখবেন, ধনী হওয়া কেবলমাত্র অর্থের ব্যাপার নয় এটি সময়ের সাথে কঠোর পরিশ্রম এবং মনোযোগের সুফল।

গরিব থেকে ধনী হওয়া বা শর্টকাটে বড়লোক হওয়া কোন ম্যাজিক নয়। তবে আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা শিক্ষার গুরুত্ব সঞ্চয় বিনিয়োগের কৌশল এবং নিজেকে উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা। জীবন আপনাকে অনেক সুযোগ দিয়েছে তাই অবহেলা না করে সেগুলোকে কাজে লাগান তাহলে নিশ্চয়ই আপনি গরীব থেকে ধনী হতে পারবেন।

অনলাইনে বিভিন্নভাবে আয় করা

বর্তমান বাংলাদেশ বেকার যুবকদের জন্য অনলাইন বিজনেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অনেক যুবক রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে খুব সহজে বা শর্টকাটে বড়লোক হয়ে যাচ্ছেন। ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন কাজের সেক্টর রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং বা ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে মানুষ অনেক টাকা মালিক হয়ে যাচ্ছে।

আপনিও ইচ্ছা করলে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে সে টাকাগুলো সঞ্চয় করে আপনি কি ব্যবসা দাঁড় করিয়ে সেখান থেকেও ইনকাম করতে পারেন। এতে করে আপনি দুই ভাবে লাভজনক হবেন। একদিকে অনলাইন থেকে ইনকাম হবে এবং অপরদিকে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ইনকাম হবে। তাই আমার মতে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার একটু অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্নভাবে আয় করা।

জীবনের সফলতা অর্জনের মূলমন্ত্র



প্রত্যেক মানুষের জীবনের সফলতা অর্জন করতে চাই সেটা নারী হোক কিংবা পুরুষ তবে সফলতার কিছু মূলমন্ত্রণ রয়েছে । চলুন আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নেওয়া যায় জীবনের সফলতা অর্জনের মূলমন্ত্র গুলো।

সবার আগে নিজের যত্ন নিতে হবে। যদি আপনি নিজের কাজে বা নিজেকে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার জীবনের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন। আর নিজের ভারসাম্য যদি আপনি হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার জীবনের সফলতা অর্জন করা অনেক বেশি কষ্টদায়ক হয়ে যাবে।

জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামনে এগিয়ে চলা। আপনারা দেখবেন একজন পর্বতারোহী যখন উপরের দিকে উড়তে থাকে তিনি কিন্তু অনেক বার পা পিছলে নিচে পড়ে যান তবুও কি তিনি ওপরে ওঠা থামিয়ে দেন। আর এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য আমরা বিভিন্ন সময় পা পিছলে পড়ে যেতে পারি তাই বলে আমরা উঠে দাঁড়াবো না এটা আমাদের জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না।

একটা প্রবাদ বাক্য আছে নিশ্চয়ই আপনারা জানেন যে পাছে লোকে কিছু বলে তাই অন্যের কথায় কখনো কান দিতে যাবেন না। আপনার সম্পর্কে কে কি বলল সে বিষয়ে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। সকল কিছুকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ সফল হতে পারবে।

আপনারা নিজেরাই নিজেদেরকে অনুভব করে দেখবেন যে প্রত্যেক মানুষ ভালো বিষয়গুলো ভাবেনা কিন্তু খারাপ বিষয়গুলো নিয়ে অনেক মন খারাপ করে। আমাদেরকে এই মানসিকতা বদলাতে হবে খারাপ বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে এবং ভালো বিষয়গুলোকে জীবনে গ্রহণ করতে হবে।

ভালো চিন্তা ভাবনার সাথে সাথে ভালো বা ইতিবাচক মানুষের সাথে মেলামেশা করতে হবে। কারণ কথা আছে সঙ্গ দোষে লৌহ ভাসে। আপনি দেখবেন যে মানুষটা দশজন চোরের সাথে ওঠাবসা করে ১১ তম চোর কিন্তু সেই মানুষটাই হবে। আর একজন মানুষ যদি কিছু ভালো মানুষ বা প্রতিষ্ঠিত মানুষের সাথে মেলামেশা করে তাহলে ১১ তম প্রতিষ্ঠিত মানুষ কিন্তু সেই মানুষটি হবে তাই ইতিবাচক মানুষের সাথে মেলামেশা করা উচিত।

জীবনে চলার পথে মানুষ সব সময় কর্মব্যস্ত থাকে। মাঝেমধ্যে এই কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নিজেকে ছুটি দেওয়া বা আরাম দেওয়ার প্রয়োজন। আমরা সবসময় নিজের কাজ নিয়ে ভাবি কিন্তু কখনো নিজেকে নিয়ে ভাবি না। তাই এই কর্ম ব্যস্ত জীবনে মাঝে মাঝে নিজেকে ছুটি দেবেন।

ব্যাংকে টাকা রেখে বড়লোক হওয়া

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ব্যাংকে টাকা রেখে কিভাবে শর্টকাটে বড়লোক হওয়া যায়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমান সময়ে ব্যাংকে অনেকে লাখ লাখ টাকা রেখে সেখান থেকে ইন্টারেস্ট পাই এবং দৈনন্দিন জীবনযাপন করে। তবে অনেকের মতে লাখ লাখ টাকা জমাতে ২০ থেকে ২৫ বছর সময় লাগবে। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গেছে উন্নত বিশ্বের হিসাব অনুযায়ী যেসব মানুষ গড়ে অনেক বেশি আয় করে তারা ব্যাংকে টাকা রেখে অনেক দ্রুত বড়লোক হতে পার...

আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা বা চাকরি থেকে আয় করে সেখান থেকে কিছু পরিমাণ টাকা ব্যাংকে রাখতে পারেন এবং সেই ইন্টারেস্ট অনেকদিন পর্যন্ত বাড়তে বাড়তে আরো অনেক বেশি টাকায় পরিণত হবে বড়লোক হতে পারবেন। কিন্তু আমার মতে একজন সাধারণ মানুষের ব্যাংকের কোটি টাকা জমাতে অনেক সময় লেগে যায়।

তাই শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার জন্য নিজেদেরকে অনেক পরিশ্রমী হতে হবে এবং ভালো পড়াশোনা করে একটি ভালো চাকরি করতে হবে এক কথায় নিজের চেষ্টায় কিছু করতে হবে। তাহলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি বড়লোক হতে পারবেন।

বাংলাদেশে সৎ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কোটিপতি হতে কতদিন সময় লাগে

অনেক মানুষের মনে প্রশ্ন থাকে বাংলাদেশে সৎ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কোটিপতি হতে কত দিন সময় লাগে। একজন মানুষের শর্টকাটে বড়লোক হওয়া আর কোটিপতি হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাহলে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে একজন মানুষ কত দূর পর্যন্ত বড়লোক হতে পারে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে যারা জীবনে শুধু পরিশ্রম করে টাকা জমায় কিন্তু তাদের জীবন সহজ নয়। একজন মানুষ সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শুধু পরিশ্রম করে যায় তারা কিন্তু জীবনের স্বাধীন নয় তাই কোটিপতি হতে হলেও নিজেকে আগে স্বাধীন করতে হবে।

সকল মানুষের চায় কোটিপতি হওয়ার পাশাপাশি স্বাধীন হতে। তাই আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আমাদের নিজস্ব সঞ্চয় শুধু ব্যাংকে জমা না রেখে সেই টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগ করা। যাতে করে সেই বিনিয়োগ থেকে আরও বেশি পরিমাণ টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি টাকার সঞ্চয় করার পর বিনিয়োগী না করেন তাহলে আপনার টাকার পরিমান বৃদ্ধি পাবে না। তাই আমার মতে টাকা সঞ্চয় করার পর আপনারা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করবেন এতে আপনাদের সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

হে আমার প্রাণপ্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আজকের পোস্টে আমরা জানলাম শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম বাংলাদেশে সৎ ও নিয়ম তান্ত্রিক উপায়ে কোটিপতি হতে কতদিন সময় লাগে, সফলতা অর্জনের মূলমন্ত্র ব্যাংকের টাকা রেখে বড়লোক হওয়ার উপায় এবং নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার আরো কিছু উপায় সমূহ।

আমি আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। পোস্টিং সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা যদি এই ধরনের আরও আর্টিকেল পড়তে এবং জানতে চান তাহলে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url