আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫-আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। কেননা প্রতিটি শিক্ষার্থী স্বপ্ন নিয়ে থাকে আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। তাই কিভাবে আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে জানতে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কিন্তু
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে প্রায় অনেক ছাত্রছাত্রী জানেন না।
তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়,
আমেরিকায় স্কলারশিপপেতে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং বর্তমানে যে সব দেশ স্কলারশিপ
দিচ্ছে ইত্যাদি সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫ জানতে পড়ুন
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫
- আমেরিকাতে কেন পড়তে যাবেন
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে
- বর্তমানে আমেরিকায় কোন কোন ফুল ফ্রি কলারশিপ রয়েছে
- আমেরিকা যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
- আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার খরচ কেমন
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া
- আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা এবং চাকরি
- আমেরিকায় কি ১০০% কলারশিপ পাওয়া যায়
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া কি সহজ
- সাধারণ শিক্ষার্থী কি আমেরিকায় এম এস এস করতে পারবে
- আমেরিকায় এম এস এস বয়স সীমা কত
- আমেরিকায় পড়াশোনা করে কি চাকরি পাওয়া যায়
- বর্তমানে যেসব দেশ স্কলারশিপ দিচ্ছে
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫ সম্পর্কে জানার জন্য অনেক মানুষই গুগলে
সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আমি আশা করি আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার
উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে আগ্রহী। আমেরিকা শুধুমাত্র শিক্ষার দিক নয়
ক্ষমতার সামর্থ্য এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়েও অন্যান্য দেশের চেয়ে বর্তমানে অনেক
এগিয়ে রয়েছে। আর সেজন্য আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীর কাছে
আমেরিকার স্বপ্নের মত।
প্রতিবছর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ বা তারও বেশি ছাত্র
ছাত্রী স্কলার্শিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন। এরপর এসব আবেদনগুলো যাচাই বাছাই
করে প্রতিবছর অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। যারা স্কলারশিপ
পাওয়ার সুযোগ পায় তারা জীবনে অনেক ভালো কিছু করে থাকে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন
আসতে পারে আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার সহজ উপায় কি এবং আমেরিকা স্কলার্শিপ
পাওয়ার জন্য আপনাকে কোন কাজগুলো করতে হবে।
আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে রয়েছে সাধারণত
একাডেমিক ফলাফল, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা
স্কলারশিপ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বৃত্তি
প্রদানকারী সংস্থাগুলির নির্দেশনা বলে অনুসরণ করে আপনার স্কলারশিপের জন্য আবেদন
করা উচিত তাই চলুন আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আরো যে বিষয়গুলো নজর
রাখতে হবে সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নেওয়া যাক।
একাডেমিক ফলাফলঃ ভালো CGPA (Cumulative Grade Point Average) এবং SAT/ GRE
স্কোর স্কলার্শিপ পাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতাঃ TOEFL বা IELTS এর মত ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় ভালো
স্কোর করা আবশ্যক যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সাধারণ
প্রয়োজনীয়তা।
সুপারিশ পত্র (Recommendation Letters): অধ্যাপক এবং প্রাক্তন শিক্ষক
যারা আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন তাদের কাছ থেকে সুপারিশ পত্র গ্রহণ করা
জরুরি।
মোটিভেশন লেটার (Motivation Letters): কেন আপনি এই স্কলারশিপ
টি চান এবং কেন আপনি এই প্রোগ্রামের জন্য উপযুক্ত তাই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে একটি
শক্তিশালী মোটিভেশন লেটার আপনাকে লিখতে হবে।
গবেষণা প্রস্তাব (Research Proposal): আপনি যদি রিচার্জ ভিত্তিক
প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করেন তবে একটি বিস্তারিত গবেষণা প্রস্তাব তৈরি করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের খোঁজঃ ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ, এইট জি
সি স্কলারশিপ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ স্কলারশিপ
গুলির ওয়েবসাইট গুলো নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রাম নির্বাচনঃ আপনার আগ্রহ এবং যোগ্যতার সাথে
সঙ্গতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রাম নির্বাচন করা উচিত হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণঃ প্রতিটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এর নিজস্ব
আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে যা মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করা প্রয়োজন।
ওয়েবসাইট এবং রিসোর্স এর ব্যবহারঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং রিসোর্স যেমন Luminedge
Bangladesh,Scholarship Roar,Unischolars এবং Ambitio থেকে স্কলারশিপ এবং আবেদন
প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
, সফল আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাঃ যারা ইতিমধ্যেই স্কলারশিপ পেয়েছেন
তাদের অভিজ্ঞতা থেকে কিভাবে আবেদন করতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ একতরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায়
আমেরিকাতে কেন পড়তে যাবেন
আমরা আমেরিকাতে কেন পড়তে যাব এমন প্রশ্ন অনেকের মনে উঁকি দেয়। পূর্বে জ্ঞান
অর্জনের জন্য চীনা সব ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ ঘুরতে আসতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে
কালের পরিক্রমায় পাশ্চাত্যের আমেরিকা হয়েছে জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্যতম স্থান।
শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞান গবেষণাগার চর্চা করে মানুষ আনন্দিত হবে
এমনটা নয় পরবর্তীতে ভালো চাকরির সম্ভাবনা আছে।
এছাড়াও আমেরিকাতে সাধারণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত বছরে প্রায় ৫০
থেকে ৬০ হাজার ডলার টাকা ইনকাম করে থাকেন। আমেরিকাতে ইলেকট্রিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে এছাড়া ও তাদের বছরে বেতনের পরিমাণ
অনেকটা বেশি।
আমেরিকায় স্কলারশিপ বৃত্তি পাওয়ার জন্য কিছু সাধারণ যোগ্যতা যেমনঃভালো
একাডেমিক ফলাফল সেটা হতে পারে উচ্চ CGPA/জিপিএ, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যেমন
প্রোফাইল বা আই ই এল টি এস পরীক্ষায় ভালো স্কোর এছাড়াও প্রাসঙ্গিক পরীক্ষার
স্কোর যেমন SAT/ GRE। তাছাড়াও আবেদনকারীর শক্তিশালী জীবন বৃত্তান্ত সিভি,
প্রভাবশালী রিকমেন্ডশন এবং একটি আকর্ষণীয় স্টুডেন্ট স্টেটমেন্ট এসওপি থাকাটাও
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার কিছু বৃত্তি বিশেষভাবে গবেষণায় প্রস্তাব এবং
নেতৃত্বের গুণাবলীর উপর বিশেষভাবে জোর দেয়। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে
আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে তা আলোচনা করা হলোঃ
একাডেমিক যোগ্যতাঃ সাধারণত ৩.০ বা তার বেশি জিপিএ একটি ভাল ভিত্তি তৈরি করে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে ৩.৫ বা তার বেশি জিপিএ প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে
প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম গুলির জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে।
মানসম্মত পরীক্ষার স্কোরঃ SAT/GRE/GMAT: এই পরীক্ষা গুলোর স্কোর আপনার প্রোগ্রাম
এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। SAT স্কোর ১২৫০ বা তার বেশি এবং
GRE এর স্কোর অনেক ভালো হওয়া প্রয়োজন।
TOEF/IELTS: ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে এই পরীক্ষাগুলোর স্কোর অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। ভালো স্কোর যেমন IELTS-এ স্বাদ বা তার বেশি থাকলে ভিসা প্রসেসিং
করতে অনেক সুবিধা হতে পারে।
জীবন বৃত্তান্ত (CV): একাডেমিক অর্জন, কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণা এবং অন্যান্য
সহায়ক কার্যকলাপ গুলি একটি শক্তিশালী সিভি তৈরি করে।
স্টুডেন্ট স্টেটমেন্ট (SOP): স্টুডেন্ট স্টেটমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে
আবেদনকারী তার উদ্দেশ্য গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশদভাবে জানান
দেয়।
নেতৃত্ব এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপঃ নেতৃত্ব এবং কমিউনিটি সার্ভিসের
অভিজ্ঞতা স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রদান করে।
আর্থিক স্বচ্ছলতা যদিও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা হচ্ছে তবে কিছু কিছু
ক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণও প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়াও আপনার নির্বাচিত প্রোগ্রাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয়
যোগ্যতা গুলি বিস্তারিত ভাবে জেনে তারপর আবেদন করা উচিত।
বর্তমানে আমেরিকায় কোন কোন ফুল ফ্রি কলারশিপ রয়েছে
আমেরিকার বেশ কয়েকটি ফুল ফ্রি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে যা আন্তর্জাতিক
শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ফুল ব্রাইট প্রোগ্রাম, বিল গেটস
স্কলারশিপ, ্ হাবাট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ উল্লেখযোগ্য এছাড়াও বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বস্টোন ইউনিভার্সিটি, হারভার্ড ইউনিভার্সিটি,
স্ট্র্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইএল উনিভার্সিটি তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে
অধ্যয়নের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য তারা সম্পূর্ণ অর্থায়নে
স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন।
তাছাড়াও আমেরিকায় ফুল ফ্রি কলারশিপ সাধারণত টিউশন ফ্রি, আবাসন, খাবার স্বাস্থ্য
বীমা এবং কিছু ক্ষেত্রে ভ্রমণ খরচ বহন করে থাকেন। তাই আজকের আর্টিকেলের
মাধ্যমে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ফুল ফ্রি কলারসি প্রোগ্রাম এর বিস্তারিত তথ্য নিচে
আলোচনা করা হলোঃ
ফুল ব্রাইট প্রোগ্রামঃ ফুল ব্রাইট প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য
একটি বিখ্যাত প্রোগ্রাম যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রির
জন্য সম্পন্ন অর্থায়ন করে থাকেন।
বিল গেটস স্কলারশিপঃ বিল গেটস ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত এই স্কলারশিপটি বিশেষভাবে
মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য যারা বিজ্ঞান,প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত বিষয়ে
অধ্যয়ন করতে অধিক আগ্রহী।
হাবাট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপঃ এটি একটি নন ডিগ্রী প্রোগ্রাম যা আন্তর্জাতিক
পেশাদারদের জন্য উন্মুক্ত যারা নেতৃত্ব এবং জনসভার ক্ষেত্রে অনেক আগ্রহ প্রকাশ
করে বা আগ্রহ রাখে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপঃ বোস্টন ইউনিভার্সিটি, হারভার্ড
ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি সহ আরো অনেক
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুল ফ্রি
স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন।
এই স্কলারশিপ গুলোর জন্য আবেদন করার আগে আবেদনকারী কে অবশ্যই তার নিজ নিজ
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ
করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
আমেরিকা যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে
আমেরিকায় যেতে সাধারনত ৬.৫ থেকে ৭.৫ বা তার বেশি IELTS স্কোর লাগে তবে কিছু কিছু
বিশ্ববিদ্যালয় ৫.৫ ইস করো গ্রহণ করে থাকেন। ভিসার জন্য সাধারণত ৬.৫ বা তার বেশি
স্কোর হলে ভালো হয়। আমেরিকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রামের জন্য
IELTS স্কোর প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু
বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রাম ৬.০ স্কোর গ্রহণ করে আবার কিছু প্রোগ্রাম ৭.৫ বা তার
বেশি স্কোর চাইতে পারে।
এছাড়াও স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ৬.০ বা তার বেশি স্কোর
গ্রহণ করে যেখানে কোন একটি ব্র্যান্ডে স্কোর ৫.৫ এর নিচে হওয়া উচিত হবে না।
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত ৬.৫ থেকে ৭.৫ বা তার বেশি স্কোর
প্রয়োজন হয়।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শর্তসাপেক্ষে ৫.৫ স্কোর ও গ্রহণ করে থাকে যা বিশেষ
করে কিছু নির্বাচিত প্রোগ্রামের জন্য হয়ে থাকে।
সাধারণত ভিসার জন্য ৬.৫ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন হয়। আপনার কাঙ্ক্ষিত
বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রামের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দিষ্ট স্কোর
এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে আবেদন করা আপনার জন্য অনেক ভালো হতে
পারে।
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার খরচ কেমন
বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যারা আমেরিকাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে
আগ্রহী। কেননা শিক্ষার দিক থেকে আমেরিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে
অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও উন্নত মানের পড়াশোনার জন্য স্বাভাবিকভাবেই
পড়াশোনার খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আমেরিকায়
ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নাটক ডিগ্রি অর্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে
প্রায়ই আপনার ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
যা বছর হিসাব করলে টাকার পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ডলার। বাংলাদেশের
শিক্ষার্থীদের জন্য এই খরচ খুবই কষ্টকর। তবে আমেরিকায় কিছু কিছু
বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে খরচের পরিমাণ অনেকটাই কম হয়ে থাকে। এছাড়া কলারশিপ
নিয়ে যেতে পারলে আপনার খরচের পরিমাণ আরো কম পড়বে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি ধাপের
সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। প্রথমে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা আগ্রহ এবং লক্ষ্য
অনুযায়ী সঠিক কলারশিপ খোঁজে বের করতে হবে। এরপর স্কলার্শিপ এর জন্য প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র সংগ্রহ করে আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। আবেদন করার সময় কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে যেমন-শক্তিশালী একাডেমী রেকর্ড, ভালো মানের এস
ও পি এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের প্রমাণ। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে
আবেদন প্রক্রিয়ার মূল ধাপ গুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
স্কলারশিপ নির্বাচনঃ সর্বপ্রথম আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয় এবং লক্ষ্য অনুযায়ী
সঠিক স্কলারশিপ খুঁজে বের করতে হবে। কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপের মধ্যে ফুল ব্রাইট
স্কলারশিপ, বিল গেটস স্কলারশিপ, বোস্টোন ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ, হার্বাট
ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ অন্যতম। আপনি চাইলে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় উচ্চ থেকে
স্কলারশিপের জন্য খোঁজ করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট ও
মার্কশিট, সুপারিশ পত্র, জীবন বৃত্তান্ত সিভি এসএসসি বা
জিম্যান্ট স্কোর, জীবন বৃত্তান্ত সিভি এছাড়াও অন্যান্য প্রাসঙ্গে
কাগজপত্র যেমন পার্থক্য বহির্ভূত কার্যক্রমের প্রমাণ ইত্যাদি।
আবেদনপূরণঃ স্কলার্শিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন
পূরণ করতে হবে। আবেদন পত্রের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ মনে রাখতে হবে এবং
তার আগে আবেদন করতে হবে। এভাবে আপনি আপনার আবেদন করবেন।
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা এবং চাকরি
আমেরিকাতে আপনি চষ শিক্ষার পাশাপাশি পার্টটাইম হিসেবে ছোটখাটো কিছু কাজ করতে
পারবেন। আপনি যদি চান তাহলে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু টাকা আয় করতে চান
তাহলে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। আমেরিকায় একটি উন্নত দেশ হওয়ায় সেখানে পার্ট
টাইম জব পাওয়া যায় সেগুলো পড়াশোনা পাশাপাশি আপনি করতে পারবেন। জব করে খুব বেশি
টাকা ইনকাম করতে না পারলেও পড়াশোনার খরচ মোটামুটি চালানো যাবে।
আমেরিকায় কি ১০০% কলারশিপ পাওয়া যায়
বাংলাদেশের অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা জানতে চায় আমেরিকায় কি ১০০% কলারশিপ
পাওয়া যায়। হ্যাঁ আমেরিকায় ১০০ % কলারশিপ পাওয়া সম্ভব। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়
এবং বৃত্তি প্রোগ্রাম রয়েছে যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ টিউশন
ফি আবাসন এবং অন্যান্য খরচ বহন করে থাকেন।
১০০% কলারশিপ বা ফুল ফান্ডিং সাধারণত মেধাবী এবং যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য
দেওয়া হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপ গুলো সাধারণত একাডেমিক ফলাফল পরীক্ষার স্কোর
(SAT/GRE/GMAT/IELTS) গবেষণা অভিজ্ঞতা এবং আবেদনপত্রের মানের উপর ভিত্তি করে
দেওয়া হয়ে থাকে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া কি সহজ
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্কলারশিপ পাওয়া কোন ভাবে সহজ নয়। কেননা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পরিমাণ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে তার চেয়ে লক্ষ গুন
বেশি আবেদন জমা পড়ে থাকে। সেখান থেকে আবেদনগুলো প্রথমে যাচাই বাছাই করে কয়জন কে
স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো থাকতে
হবে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া খুব একটা সহজ নয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কলারশিপ
পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। সাধারণত ভালো একাডেমিক রেকর্ড,
শক্তিশালী আবেদন পত্র, মোটিভেশন লেটার রিকমেন্ডশন লেটার, এবং গবেষণা প্রস্তাব
এছাড়াও ইংরেজি ভাষার ভালো দক্ষতা থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভাবনা অনেক
বেশি থাকে।
সাধারণ শিক্ষার্থী কি আমেরিকায় এম এস এস করতে পারবে
একজন সাধারন শিক্ষার্থী অবশ্যই আমেরিকাতে এম এস এস করতে পারবেন। তবে অবশ্যই তার
একাডেমী ফলাফল ভালো হতে হবে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমএসএস করার জন্য যে
জিনিসপত্রগুলো প্রয়োজন সেগুলো যদি থাকে তাহলে অবশ্যই একজন সাধারন শিক্ষার্থী
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এম এস এস করতে পারবেন।
আমেরিকাতে এম এস এস করার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সের প্রয়োজন হয় না। আপনি যে কোন
বয়সে এই কোর্সটি আমেরিকাতে গিয়ে সম্পূর্ণ করতে পারবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। অর্থাৎ আপনাকে
এর সময় মত ভর্তি হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করতে হবে। তাহলে আপনি
চাইলে যে কোন বয়সে আমেরিকাতে গিয়ে এম এস এস করতে পারবেন।
আমেরিকায় পড়াশোনা করে কি চাকরি পাওয়া যায়
হ্যাঁ, আমেরিকায় পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়া যায়। অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র তাদের
পড়াশোনার পাশাপাশি বা পরে সেখানে কাজ করে। তবে কিছু নিয়ম ও বিধি নিষেধ রয়েছে
যা অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি আমেরিকাতে চাকরি করতে চান
তাহলে আপনার দক্ষ স্কিল এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও আপনাকে আমেরিকাতে
কাজ করতে হলে অনেক পরিশ্রমের সাথে কাজ করতে হবে। তাই বলা যায় আমেরিকায়
পড়াশোনার পাশাপাশি বা পড়াশোনা শেষ করে আপনি চাইলে সেই দেশের বিভিন্ন নিয়ম
কানুন মেনে আপনি চাকরি করতে পারবেন।
বর্তমানে যেসব দেশ স্কলারশিপ দিচ্ছে
বর্তমানে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ দিচ্ছে। এর মধ্যে
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড,
নরওয়ে, সুইডেন, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়ার নাম উল্লেখযোগ্য। এই দেশগুলো সাধারণত
স্নাতক স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে
থাকেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কয়েকটি দেশের স্কলারশিপ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
যুক্তরাষ্ট্রঃ যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ব্রাইট প্রোগ্রাম এবং UGRAD প্রোগ্রাম সহ বেশ
কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা
হয়েছে।
যুক্তরাজ্যঃ যুক্তরাজ্যেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক
শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করে। আইডিপি এডুকেশন এখানে বৃত্তি পাওয়া
তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে।
কানাডাঃ কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে
যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটা আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হতে পারে।
জার্মানিঃ জার্মানিতে টিউশন ফি সাধারণত কম বা বিনামূল্যে দেওয়া হয় এবং কিছু
ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগও রয়েছে। এখানে ড্যাড (DAAD)
স্কলারশিপ এবংহামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ উল্লেখযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়াঃ অস্ট্রেলিয়ার স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিভিন্ন ধরনের
উন্নত স্কলার্শিপ পাওয়া যায়ঃ
নরওয়েঃ নরওয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত টিউশন ফি লাগে না, তবে কিছু
কিছু সেমিস্টার ফি দিতে হতে পারে।
নেদারল্যান্ডঃ নেদারল্যাণ্ডে ও ইংরেজি ভাষায় পড়ার সুযোগ রয়েছে এবং
এখানে কিছু কিছু বৃত্তীয় পাওয়া যায়।
সুইজারল্যান্ডঃ সুইস গভর্মেন্ট এক্সিলেন্স কলারশিপ একটি সম্পূর্ণ অর্থিত বৃত্তি
যা পিএইচডি অধ্যায়নের জন্য দেওয়া হয়।
তুরস্কঃ তুরস্ক সরকার ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ
অর্থায় বৃদ্ধি দিয়ে থাকে, যেখানে মাসিক বৃত্তি, টিউশন ফি এবং বিমান ভাড়া ও
অন্তর্ভুক্ত করা থাকে।
মালয়েশিয়াঃ মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন স্কলারশিপ পাওয়া যায়
যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সাশ্রয়ী গন্তব্য হতে পারে।
এই দেশগুলো ছাড়াও আরো অনেক দেশ রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
পরিচালনা করে থাকেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারলেন যে, আমেরিকায়
স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়, আমেরিকাতে কলারশিপ পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে, আমেরিকাতে
কেন পড়তে যাবেন, আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার খরচ কেমন এবং বর্তমানে আমেরিকাতে
কোন কোন ফুল ফ্রি স্কলারশিপ রয়েছে ইত্যাদি সম্পর্কে।
আর তাই আমি আশা করি আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুরো
আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন। আজকের এ আর্টিকেলটি পড়ে
যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। তাছাড়াও আরো কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url